শাল্লায় হামলার মামলা দ্রুতবিচার আইনে নিতে স্মারকলিপি

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি


মার্চ ২৫, ২০২১
০২:৫১ পূর্বাহ্ন


আপডেট : মার্চ ২৫, ২০২১
০২:৫১ পূর্বাহ্ন



শাল্লায় হামলার মামলা দ্রুতবিচার আইনে নিতে স্মারকলিপি

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার হিন্দুদের গ্রাম নোয়াগাঁওয়ে হেফাজতে ইসলামের অনুসারীদের হামলা ও লুটপাটের মামলা দ্রুতবিচার আইনে নেওয়ার দাবিতে বুধবার (২৪ মার্চ) বিক্ষোভ সমাবেশে করেছেন এলাকাবাসী। পরে তারা মিছিল দিয়ে থানায় গিয়ে পুলিশ সুপার বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। পুলিশ সুপার বরাবরে দাখিলকৃত স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন শাল্লা থানার ওসি মো. নাজমুল হক। একই দাবিতে শাল্লায় উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন মামলাটি দ্রুতবিচার আইনে নেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন।

এদিকে, বুধবার বিকেলে হামলা ও ভাঙচুরের আলামত পুলিশ গ্রামে গিয়ে নিয়ে এসেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। অন্যদিকে, এই মামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় কোনো আটক নেই। এ পর্যন্ত ৩৪ জন আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে।

বুধবার সকালে শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগ মামলাটি দ্রুত বিচার আইনে নেওয়ার দাবিতে গুঙ্গিয়ারগাঁও বাজারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। মানববন্ধনে উপজেলা আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। এ সময় বক্তব্য দেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অলিউল হক, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ চৌধুরী, মামুন আল কাউসার, বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টু, আবুল লেইছ চৌধুরী, কাজল বরণ চৌধুরী প্রমুখ।

পরে দুপুরে শাল্লা থানা রোডে হবিবপুর ও নোয়াগাঁও গ্রামবাসী বিক্ষোভ মিছিল সহকারে উপজেলা সদরে যান। তারা মানববন্ধন শেষে মিছিল সহকারে থানায় গিয়ে মামলাটি দ্রুতবিচার আইনে নেওয়ার দাবি জানিয়ে পুলিশ সুপার বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল চন্দ্র দাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা জগৎচন্দ্র দাস, অ্যাডভোকেট সুব্রত দাস প্রমুখ।

এদিকে, বুধবার বিকেলে শাল্লা থানার পুলিশ হামলা ও লুটপাটের শিকার গ্রামে গিয়ে জব্দ করার কথা বলে ভাঙচুর হওয়া জিনিসপত্র নিয়ে আসে। এ সময় গ্রামবাসী বাধা দিলে তারা মানেনি।

এ বিষয়ে শাল্লা থানার ওসি মো. নাজমুল হক বলেন, 'মামলার তদন্তের স্বার্থে জব্দ তালিকা করে আমরা ভাঙচুরকৃত জিনিসপত্র নিয়ে এসেছি, অন্য কোনো কারণে নয়।' এলাকাবাসীর দেওয়া দ্রুতবিচার আইনের স্মারকলিপিটি তিনি পেয়েছেন বলেও জানান।

 

এসএস/আরআর-১০