কুলাউড়া প্রতিনিধি

মার্চ ২৭, ২০২১
০১:৩৭ পূর্বাহ্ন

আপডেট : মার্চ ২৭, ২০২১
০১:৩৭ পূর্বাহ্ন

মৌলভীবাজার-২ কুলাউড়া আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মতিনের নাম ব্যবহার করে অজ্ঞাত একটি অসাধু চক্রের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে সাবেক এ সাংসদ সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। যার অনুলিপি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদক, পৌর মেয়র, উপজেলা প্রশাসনের সকল দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, কুলাউড়া থানার ওসি ও গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে দেওয়া হয়েছে।

কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মতিনের লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, বর্তমানে তিনি বয়োবৃদ্ধ অবস্থায় ঢাকাস্থ বাসায় অবস্থান করছেন। তিনি সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে রিলিফ কমিটির চেয়ারম্যান, ৪ বার নির্বাচিত কুলাউড়ার জয়চন্ডী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, দুইবার নির্বাচিত কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সর্বশেষ ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একজন সাংসদ হিসেবে সুনামের সঙ্গে দায়িত্বপালন করেছেন। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে গণমানুষের কল্যাণে কুলাউড়ার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, অসংখ্য রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট নির্মাণ, বিদ্যুতায়নসহ বর্তমান সরকারের নানাবিধ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন। এতে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক তৈরি হয় এবং বর্তমানেও তা বিদ্যমান রয়েছে। এরই সুযোগে তিনি কুলাউড়ায় অবস্থান না করার সুবাদে কতিপয় অসাধু ব্যক্তি ও চক্র তার নাম, পরিচয় ব্যবহার করে সম্পূর্ণ অন্যায় ও অনৈতিকভাবে বিভিন্ন মহলে চাঁদা দাবি করে দীর্ঘদিনের অর্জিত সুনাম বিনষ্ট করার বিষয়টি তিনি অবহিত হন। সম্প্রতি কুলাউড়া উপজেলা উপজেলা প্রকৌশলীর মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন ০১৭১৫-২৫৭০৫১ নম্বরের মোবাইল থেকে ফোন করে কে বা কারা উর্ধ্বতন বিভিন্ন কর্মকর্তাকে তার নাম, পরিচয় ব্যবহার করে চাঁদা দাবি করেছে। বিষয়টি তার দৃষ্টিগোচর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি ঢাকা থেকে কুলাউড়ায় পৌঁছে তার দীর্ঘদিনের সুনাম নষ্ট করার কাজে লিপ্ত অসাধু ওই চক্রকে আইনের আওতায় এনে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সহায়তা চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। 

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী বলেন, 'আইনি সহায়তার জন্য সাবেক সাংসদ মহোদয় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ওই অসাধু চক্রটিকে কুলাউড়া থানা পুলিশের মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। চক্রটিকে খুঁজে বের করার পর তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'

জেএইচ/আরআর-১১