তাহিরপুরে বালি ও পাথর উত্তোলন বন্ধের দাবি

তাহিরপুর প্রতিনিধি


মার্চ ২৮, ২০২১
০১:১৭ পূর্বাহ্ন


আপডেট : মার্চ ২৮, ২০২১
০১:১৭ পূর্বাহ্ন



তাহিরপুরে বালি ও পাথর উত্তোলন বন্ধের দাবি

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ও উত্তর বড়দল ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত পাঠনাই মরা নদীর সুন্দরপাহাড়ি ও গুটিলা গ্রাম এলাকায় কৃষিজমি থেকে অবৈধভাবে বালু ও পাথর উত্তোলন বন্ধে এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকার কৃষিজমি রক্ষার্থে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

শনিবার (২৭ মার্চ) দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত ৮-১০টি গ্রামের নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে গুটিলা ও সুন্দরপাহাড়ি গ্রামের মধ্যবর্তী পাঠনাই মরা নদীতে ঘন্টাব্যাপী ধরে চলে এ মানববন্ধন।

অবৈধভাবে বালি উত্তোলন অতিসত্বর বন্ধ করে এর পার্শ্ববর্তী কৃষিজমি ও বসতঘর রক্ষা করতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করে এ সময় বক্তব্য দেন, গুটিলা গ্রামের মালেক মিয়া, জহুর মিয়া, বারেক উদ্দিন, শাহাব উদ্দিন, মেহারুন নেছা, সেতারা বেগম, রতনমালা, সুন্দরপাহাড়ি গ্রামের কাছু মিয়া, মস্তাক মিয়া, মানিগাঁও গ্রামের মনসুর আলী, হুমায়ুন, শিমুলতলা গ্রামের শাহরুল মিয়া প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, উপজেলার জাদুকাটা নদীসহ সকল নদী থেকে বালু ও পাথর উত্তোলনে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও স্থানীয় পুলিশ প্রসাশনকে ম্যানেজ করে উপজেলার বাদাঘাট উত্তর ইউনিয়নের সুন্দরপাহাড়ি গ্রামের মৃত ছমেদ আলীর ছেলে শামছুদ্দিন ওরফে সামছুদ্দিন মেম্বারের (৬০) নেতৃত্বে একই গ্রামের মৃত তমিজ আলীর ছেলে আব্দুল হাই (৬০), হেলিম মিয়া (৪৫), মৃত সফর আলী মোড়লের ছেলে আব্দুল হামিদ (৭০) সহ ১০/১৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ বালুখেকো চক্র সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গত কয়েক বছর ধরেই সুন্দরপাহাড়ি ও গুটিলা গ্রাম সংলগ্ন পাঠনাই মরা নদীর সরকারি খাস জায়গা ও ফসলি জমি কেটে দিনে দুপুরে ও রাতের আঁধারে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন ও পিকআপ দিয়ে বালু উত্তোলন করে তা বিক্রি করে যাচ্ছে। ফলে পার্শ্ববর্তী দু'টি গ্রাম, বসতঘর ও ফসলি জমি পড়েছে হুমকির মুখে। ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামের মানুষ তাদের বালু উত্তোলনে বাধা দিতে গেলে ওই বালুখেকো চক্রটি গ্রামের নিরীহ মানুষের ওপর হামলা চালানোসহ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। 

তারা জানান, বালু ও পাথরখেকো চক্রের হাত থেকে তাদের বসতঘর ও কৃষিজমি রক্ষার্থে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীর পক্ষে আব্দুল মালেক নামের এক কৃষক বাদী হয়ে গত ১০ মার্চ তাহিরপুর থানায় একটি জিডি করেন এবং জিডি মূলে একটি মামলা বিজ্ঞ আদালতে চলমান রয়েছে। এরপরও বালু ও পাথর উত্তোলন এবং বিক্রি বন্ধ না হওয়ায় গ্রামবাসী গত ২১ মার্চ পুনরায় সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবরে পৃথক দু'টি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ করার পর বালুখেকো চক্রটি মালেকের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মালেকসহ গ্রামবাসীর ঘরবাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। হামলার ঘটনার পর আব্দুল মালেক বাদী হয়ে তাদের নিরাপত্তা চেয়ে তাহিরপুর থানায় আরও একটি লিখিত অভিযোগ দেন। তবুও থেমে নেই বালু ও পাথর উত্তোলন এবং বিক্রি।

এদিকে, হামলার ঘটনার খবর পেয়ে বাদাঘাট পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই রাজিবুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বলে জানা গেছে।

 

এএইচ/আরআর-০৬