বড়লেখায় 'ভুল চিকিৎসায়' রোগীর মৃত্যু

বড়লেখা প্রতিনিধি


মার্চ ৩০, ২০২১
০৯:৩৫ অপরাহ্ন


আপডেট : মার্চ ৩০, ২০২১
০৯:৩৫ অপরাহ্ন



বড়লেখায় 'ভুল চিকিৎসায়' রোগীর মৃত্যু

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে বুকের ব্যথার এক রোগীকে ভুল চিকিৎসায় মেরে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শিক্ষানবিশ উপ-সহকারী স্বাস্থ্যকর্মী এমদাদ হোসেনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠেছে।

মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) দুপুরে এ নিয়ে হাসপাতালে চরম উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ ওই স্বাস্থ্যকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে গেছে। উপজেলা চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ ও থানার ওসি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।

হাসপাতাল, রোগীর স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গ্রামতলা মোল্লাবাড়ির বাসিন্দা প্রবাসফেরত আব্দুল খালিক (৫৭) বুকের ব্যথা অনুভব করলে মঙ্গলবার দুপুরে তার ভাতিজা রেজাউল করিম তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। ওই রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, জরুরি বিভাগের শিক্ষানবিশ উপ-সহকারী স্বাস্থ্যকর্মী এমদাদ হোসেন (২৫) কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসারকে না জানিয়ে নিয়ম বহির্ভূতভাবে বুকের ব্যথার এ রোগীকে ইনজেকশন পুশসহ মনগড়া চিকিৎসা দিয়ে কিছু পরীক্ষা-নীরিক্ষার জন্য পার্শ্ববর্তী ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠিয়ে দেন। পরীক্ষা শেষে হাসপাতালে পৌঁছার ৪-৫ মিনিটের মধ্যে আব্দুল খালিকের মৃত্যু ঘটে। এ মৃত্যুর ঘটনায় রোগীর স্বজনসহ স্থানীয় লোকজনের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। খবর পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ ও থানার ওসি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। এ সময় স্বাস্থ্যকর্মী এমদাদ হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

আব্দুল খালিকের ভাতিজা রেজাউল করিমসহ স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, জরুরি বিভাগে কোনো মেডিকেল অফিসারকে পাওয়া যায়নি। শিক্ষানবিশ স্বাস্থ্যকর্মী এমদাদ হোসেনের মনগড়া ইনজেকশন পুশ ও ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু ঘটেছে। তারা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।

হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শুভ্রাংশ শেখর দে জানান, জটিল অসুখের কোনো রোগী এলে দায়িত্বরত উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার তাৎক্ষণিক কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসারকে কল করার নিয়ম রয়েছে। ঘটনার সময় অন কল ডিউটিতে ডা. তৌফিক আজিজ হাসপাতালেই ছিলেন। কিন্তু শিক্ষানবিশ সেকমো এমদাদ তাকে না জানিয়ে রোগীকে ইনজেকশন পুশ ও ওষুধ দিয়েছেন। ওষুধ ও ইনজেকশন হয়তো সঠিক ছিল। কিন্তু তিনি তা করতে পারেন না। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।

বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার জানান, রোগীর মৃত্যুর ঘটনার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাসপাতালের শিক্ষানবিশ উপ-সহকারী এমদাদ হোসেনকে থানায় নেওয়া হয়েছে।

 

এজে/আরআর-০৭