সিলেট মিরর ডেস্ক
এপ্রিল ০২, ২০২১
১০:৩২ অপরাহ্ন
আপডেট : এপ্রিল ০২, ২০২১
১০:৩২ অপরাহ্ন
বিশ হাজার কন্টেইনার ভর্তি এভার গিভেন নামের দানবাকৃতি জাহাজ সুয়েজ খালের তীরে বালিতে আটকে যাওয়ার পর মিশরসহ কয়েকটি দেশের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হওয়ার পর এর বিকল্প রুট নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রে বিজনেস ইনসাইডার নামে একটি পত্রিকায় ১৯৬৩ সালের একটি গোপন সরকারি নথি প্রকাশ করা হয় যেখানে সুয়েজ খালের বিকল্প হিসেবে ইসরায়েলের ভেতর দিয়ে একটি খাল তৈরির পরিকল্পনার কথা ছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য দপ্তরের গোপন ওই নথি ১৯৯৬ সালে আংশিকভাবে প্রকাশ করা হয়।
আমেরিকার ওই গোপন পরিকল্পনায় ১৬০ মাইল লম্বা একটি খাল খননের জন্য ইসরায়েলের নেগেভ মরুভূমির তলায় ৫২০টি পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণ করার কথা বলা হয়েছিল।
বিবিসি লিখেছে, বিজনেস ইনসাইডারের রিপোর্টটি বিশেষ করে ইসরায়েলের মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে।
তেমন একটি খাল তৈরির সম্ভাব্যতা নিয়ে ইসরায়েলি মিডিয়ায় বিশ্লেষণ-মন্তব্য শুরু হয়েছে।
এর মধ্যে লন্ডনের দৈনিক গার্ডিয়ান বৃহস্পতিবার তাদের এক রিপোর্টে ব্রিটেনের সরকারি সূত্র উদ্ধৃত করে বলছে, সুয়েজ খালে দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে ইসরায়েল এবং মিশরের সীমান্ত দিয়ে নতুন একটি খাল তৈরির সম্ভাবনা নিয়ে জাতিসংঘের বাণিজ্যিক-রুট সম্পর্কিত কমিটিতে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।
গার্ডিয়ানের রিপোর্ট বলছে, কয়েক বছর আগে জাতিসংঘ টানেল তৈরিতে বিশেষজ্ঞ একটি কোম্পানিকে দিয়ে সুয়েজের বিকল্প একটি খালের সম্ভাব্যতা যাচাই করেছিল, যেখানে ওই কোম্পানি বলেছিল যে পাঁচ বছরে এমন একটি কৃত্রিম খাল তৈরি করা সম্ভব।
লন্ডনে রাজনৈতিক ঝুঁকি সম্পর্কিত গবেষণা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারেস্টের প্রধান এবং মধ্যপ্রাচ্য রাজনীতির বিশ্লেষক সামি হামদি বলেন, সুয়েজ খালের নিয়ন্ত্রণ এবং তা সম্ভব না হলে বিকল্প একটি জলপথ তৈরির পরিকল্পনা ইসরায়েল বহুদিন ধরেই করছে। আর তাতে পূর্ণ সমর্থন রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা অনেক দেশের।
বি এন-০৫