নদীতে ফুল ভাসিয়ে পাহাড়ে ‘বৈসাবি’ উ‍ৎসব শুরু

সিলেট মিরর ডেস্ক


এপ্রিল ১২, ২০২১
০২:৪০ অপরাহ্ন


আপডেট : এপ্রিল ১২, ২০২১
০২:৪০ অপরাহ্ন



নদীতে ফুল ভাসিয়ে পাহাড়ে ‘বৈসাবি’ উ‍ৎসব শুরু

নদীতে ফুল ভাসিয়ে ‘বৈসাবি’শুরুর দৃশ্যটি খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলা রাবারড্যাম এলাকার। ছবি- জয়ন্তী দেওয়ান

পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর প্রধানতম সামাজিক ও ধর্মীয় উৎসব ‘বৈসাবি’ শুরু হয়েছে। 

আজ সোমবার (১২ এপ্রিল) ভোরে সবার মঙ্গল কামনায় কলাপাতায় করে ভক্তি শ্রদ্ধাভরে গঙ্গাদেবীর উদ্দেশে চেঙ্গী নদীসহ বিভিন্ন প্রবাহমান ছড়া-খালে ফুল ভাসিয়ে দিনটি উদযাপন করছেন পাহাড়ি শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণীসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষেরা।

ভোরে চাকমা সম্প্রদায়ের শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণীসহ বিভিন্ন বয়সীরা ফুল সংগ্রহ করে খাগড়াছড়ির চেঙ্গী নদী ও বিভিন্ন ছড়া-খালে ফুল দিয়ে উপগুপ্ত বুদ্ধের উদ্দেশ্যে পূজা করেন। অনেকে নদীতে ফুল ভাসিয়ে দেন। 

এবার ফুল বিজুর প্রধানতম প্রার্থনা ছিল করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তিলাভ করা। এছাড়াও পুরোনো বছরের দুঃখ গ্লানি ভুলে নতুন বছরে ভালো কিছু প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন তারা। 

সকালে খাগড়াছড়ির খবং পড়িয়া এলাকায় চেঙ্গী নদীর পাড়ে নদীতে ফুল ভাসানো উপলক্ষে বসে মিলনমেলা। নানান বয়সের মানুষ বন-জঙ্গল থেকে সংগৃহিত ফুল নিয়ে হাজির হয় নদীর পাড়ে। কলাপাতা করে ভক্তি শ্রদ্ধাভরে গঙ্গাদেবীর উদ্দ্যেশে ফুল ভাসিয়ে পুরাতন বছরের গ্লানি ভুলে নতুন বছরের শুভ কামনা করেন। অনেকে জ্বালায় মোমবাতি।

মহামারি করোনার কারণে এবার বৈসাবি উৎসবের কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিকতা না থাকলেও পাহাড়ি তরুণ-তরুণীরা ফুল বিজু পালন করেছেন যথারীতি। তবে বৈসাবিকে ঘিরে অন্যান্য বছরের মতো এবার পাহাড়ের পাড়া-পল্লীতে উৎসবের আমেজ নেই। নেই ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলার আয়োজনও।

ত্রিপুরা ভাষায় বৈসু, মারমা ভাষায় সাংগ্রাই এবং চাকমা ভাষায় বিজু’ নামে এ উৎসব পালন হয়ে থাকে। এ তিন সম্প্রদায়ের নিজস্ব উৎসব নামের প্রথম অক্ষর নিয়ে ‘বৈসাবি’ নামকরণ করা হয়। বাঙালিরাও এ উৎসবে সামিল হন নিজস্ব সংস্কৃতি নিয়ে। নামে ভিন্নতা থাকলেও উৎসবের রং থাকে একই। বাংলা বছরের শেষ দুইদিন ও বাংলা নবর্ষের প্রথম দিন এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। অন্যদিকে নববর্ষের দিন থেকে তিনদিন ধরে সাংগ্রাই উৎসব উদযাপন করবেন মারমারা।

 

এএফ/০১