সিলেট মিরর ডেস্ক
                        মে ১৬, ২০২১
                        
                        ০৭:০৪ অপরাহ্ন
                        	
                        আপডেট : মে ১৬, ২০২১
                        
                        ০৭:০৪ অপরাহ্ন
                             	
 
                        
             
    নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর বর্বর ও পাশবিক আগ্রাসন চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর ও পাশবিক আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ৪১টি শিশু রয়েছে।
আল-জাজিরার খবরে বলা হয়, গতকাল শনিবার রাতভর বিমান হামলার পর আগ্রাসনের সপ্তম দিন আজ রোববার সকালেও ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবর্ষণ করে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে কমপক্ষে ৯৫০ জন আহত হয়েছে। গত ১০ মে থেকে শুরু হয় এ আগ্রাসন।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানায়, আবাসিক ভবন ও আশ্রয়কেন্দ্রগুলো লক্ষ্য করে চলছে এ হামলা। পাশাপাশি গোলাবর্ষণ করা হয় দূরপাল্লার কামান থেকে। ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে গাজার হামাস প্রধান ইয়াহিয়া আল-সিনওয়ারের বাড়ি লক্ষ্য করে। তবে রকেট হামলা চালিয়ে পাল্টা জবাব দেয় হামাসও। এতে কয়েকটি ইসরায়েলি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাণ গেছে আরো দুই ইসরায়েলের। এ নিয়ে মোট ১০ ইসরায়েলির মৃত্যু হলো হামাসের রকেট হামলায়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গতকাল জানায়, সোমবার থেকে এ পর্যন্ত হামাস, ইসলামিক জিহাদ ও অন্য দলগুলো ২ হাজার ৩০০ রকেট ছুড়েছে। তাদের দাবি, ইসরায়েল গাজায় এক হাজারের বেশি বিমান হামলা চালিয়েছে। হামাস ও অন্যান্য সন্ত্রাসী দলকে লক্ষ্য করে তারা এই হামলা চালিয়েছে।
এদিকে নাকা দিবসে উত্তাল হয়ে ওঠে পশ্চিম তীর। ইহুদি দখলদারিত্ব দিবসের প্রতিবাদে হওয়া ওই বিক্ষোভে গুলি করে অন্তত ৩০ ফিলিস্তিনিকে আহত করেছে ইসরায়েল নিরাপত্তা বাহিনী।
প্রসঙ্গত, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু গত সপ্তাহে। জেরুজালেমের আল-আকসায় পবিত্র জুমাতুল বিদা আদায়কে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত। বলা হচ্ছে, বিগত কয়েক বছরের মধ্যে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড় সংঘর্ষের ঘটনা। বড় ধরনের সংঘর্ষের সূচনা হয় সোমবার পূর্ব জেরুজালেমে। সেই সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। সংঘর্ষ গাজার পর পশ্চিম তীরে ছড়িয়ে পড়েছে।
আরসি-০৬