ধর্মপাশা প্রতিনিধি
মে ১৭, ২০২১
০৪:০২ পূর্বাহ্ন
আপডেট : মে ১৭, ২০২১
০৪:০২ পূর্বাহ্ন
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার মধ্যনগর ও সেলবরষ এই দুই ইউনিয়নের দু'টি গ্রামের দুই কিশোরী বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছে। রবিবার (১৬ মে) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মুনতাসির হাসানের হস্তক্ষেপে ওই দু'জনের বাল্যবিয়ে বন্ধ হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সন্ধ্যায় উপজেলার মধ্যনগর ইউনিয়নের এবটি গ্রামের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক কিশোরীর (১২) সঙ্গে একই গ্রামের এক তরুণের (২২) বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। এলাকাবাসীর কাছ থেকে এই বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে ইউএনও মো. মবিন উদ্দিন (৩৫) নামের এক শিক্ষককে বর ও কনের বাড়িতে পাঠান। পরে ওই শিক্ষক বর ও কনের অভিভাবকদের বুঝিয়ে এই বাল্যবিয়েটি বন্ধ করেন।
অপরদিকে, উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের একটি গ্রামের এক কিশোরীর (১৩) সঙ্গে পাশের জেলা নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার সালমান মিয়া (২৫) নামের এক যুবকের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা রবিবার বেলা ২টার দিকে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। এ খবর জানতে পেরে ধর্মপাশা থানার ওসি খালেদ চৌধুরীর সঙ্গে বথা বলেন ইউএনও। পরে ওসির নির্দেশে বেলা সোয়া ১টার দিকে কনের বাড়িতে যান ধর্মপাশা থানার এসআই সুমন চন্দ্র দাস। কনের বাড়িতে পুলিশ রয়েছে- এমন খবর পেয়ে বর ও বরযাত্রীরা আর কনের বাড়িতে যাননি। পরে ওই পুলিশ কর্মকর্তা বাল্যবিয়ের কুফল এবং এ নিয়ে আইনে কী বলা আছে তা মেয়েপক্ষের অভিভাবকদের বুঝিয়ে বললে তারা এই বাল্যবিয়েটি বন্ধ করতে সম্মত হন।
ইউএনও মো. মুনতানির হাসান বলেন, বাল্যবিয়ে একটি সামাজিক ব্যাধি। রাষ্ট্রীয় আইনে এ ধরনের বিয়ের কোনো স্বীকৃতি নেই। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, পুলিশ, শিক্ষক ও সাংবাদিকসহ সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টায় এই দু'টি বাল্যবিয়ে বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। সরকারি আইন অমান্য করে যারা বাল্যবিয়ের আয়েজন করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাল্যবিয়ে বন্ধে উপজেলা প্রশাসন সবসময় তৎপর রয়েছে।
এসএ/আরআর-০৪