৬০০ কেজি পাঠ্যবই উদ্ধার, প্রধান শিক্ষককে শোকজ

ধর্মপাশা প্রতিনিধি


মে ২০, ২০২১
০১:৪৫ পূর্বাহ্ন


আপডেট : মে ২০, ২০২১
০১:৪৭ পূর্বাহ্ন



৬০০ কেজি পাঠ্যবই উদ্ধার, প্রধান শিক্ষককে শোকজ

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের বেরিকান্দি বড়খলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়ক সংলগ্ন সেতুর উপর থেকে গতকাল মঙ্গলবার (১৮ মে) রাতে প্রায় ৬০০ কেজি ওজনের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন বই ও কার্টন উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় বই ক্রয়ের সঙ্গে জড়িত ভ্যানচালক মো. শহীদ মিয়াকে (২০) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। পরে আজ বুধবার (১৯ মে) দুপুরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ওই ভ্যানচালককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

ধর্মপাশা থানার পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের বেরিকান্দি বড়খলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী নূর খান গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে কেজিপ্রতি ৬ টাকা দামে ৬০০ কেজি বই ও কার্টন উপজেলার ফাতেমানগর গ্রামের বাসিন্দা ভ্যানচালক মো. শহীদ মিয়ার কাছে বিক্রি করে পুরো টাকা বুঝে নেন। বই ও কার্টনগুলো বেরিকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকা থেকে বের করে ওইদিন রাত ১০টার দিকে ভ্যানে করে বিদ্যালয়ের সামনের সড়ক সংলগ্ন সেতুর উপরে নিয়ে এলে  স্থানীয় এলাকাবাসী ভ্যানচালকসহ বই ও কার্টনগুলো আটক করেন। খবর পেয়ে রাত ১১টার দিকে পুলিশ সেখানে গিয়ে এসব মালামাল উদ্ধার ও ভ্যানচালককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

বেরিকান্দি বড়খলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী নূর খান বলেন, বিদ্যালয়ের পুরাতন বই ও কার্টনগুলো উপজেলা শিক্ষা অফিসে জমা দেওয়ার জন্য আনার ব্যবস্থা করেছিলাম। আমি এসব কারও কাছে বিক্রি করিনি।

তবে ভ্যানচালক শহীদ মিয়া দাবি করেন, তিনি প্রধান শিক্ষক আলী নূর খানের কাছ থেকে কেজিপ্রতি ৬ টাকা দামে এসব বই ও কার্টন কিনেছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মর্কতা মানবেন্দ্র দাস বলেন, এ ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে বুধবার শোকজ করা হয়েছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাকে জবাব দিতে বলা হয়েছে। বিষয়টি ডিপিও স্যারকে জানিয়েছি।

ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদ চৌধুরী বলেন, কালোবাজারে সরকারি বই বিক্রি হচ্ছে এমন খবর পেয়ে আমরা মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে গিয়ে এসব মালামাল জব্দ করেছি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক হওয়া ভ্যানচালককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি ইউএনও স্যার ও উপজেলা শিক্ষা কর্মর্কতাকে লিখিতভাবে অবহিত করেছি। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মুনতাসির হাসান বলেন, এ ঘটনায় কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামকে প্রধান করে দুই সদস্যবিশিষ্ট  একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ বিষয়ে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

এসএ/আরআর-১০