ধর্মপাশা প্রতিনিধি
মে ২৪, ২০২১
১২:২৯ পূর্বাহ্ন
আপডেট : মে ২৪, ২০২১
১২:২৯ পূর্বাহ্ন
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সাদেকুর রহমানের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নাম ভাঙিয়ে সরকারি একটি প্রকল্পের কাজ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে স্থানীয় দয়ালপুর দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্যদের কাছ থেকে ১৭ হাজার টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ নিয়ে রবিবার (২৩ মে) দুপুরে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. রাশিদ মিয়া সুবিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন।
উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের দয়ালপুর দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. রাশিদ মিয়া অভিযোগে বলেছেন, গত বছর বন্যার পানিতে আমাদের গ্রামের জামে মসজিদ ঘরটির চারদিকের মাটি সরে যায়। আমাদের ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমানুর রাজা চৌধুরীর কাছে ৭/৮ মাস আগে এ সমস্যা সমাধানের জন্য দাবি জানিয়েছিলাম। এরই প্রেক্ষিতে চেয়ারম্যান আমানুর রাজা চৌধুরী ও ইউপি সদস্য সাদেকুর রহমান সরেজমিনে আমাদের মসজিদটি পরিদর্শন করে এই দূরবস্থা দেখেন। তখনকার সময় ওই ইউপি সদস্য আমাকে জানিয়েছিলেন, অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (৪০ দিনের) প্রকল্পের কাজের মাধ্যমে মসজিদ মেরামতের কাজ বাস্তবায়ন করা হবে। তবে এ বাবদ ইউএনও এবং ইউপি চেয়ারম্যান এই দুইজনকে মোট ২৫ হাজার টাকা দিতে হবে। কমিটির সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে কাজটি পাওয়ার সুবিধার্থে আমাদের কমিটির কয়েকজন সদস্য ও ওই ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের হারুন মিয়ার উপস্থিতিতে ওই ইউপি সদস্যের কাছে এ বাবদ ১৭ হাজার টাকা তুলে দিয়েছিলাম। কিন্তু মাসের পর মাস যাচ্ছে এখনও কাজ হয়নি, টাকাও ফেরত পাইনি।
সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের অভিযুক্ত ইউপি সদস্য সাদেকুর রহমান বলেন, আমি রাজাপুর গ্রামের হারুন মিয়ার কাছ থেকে ১৭ হাজার ধার নিয়েছি। ইউএনও এবং চেয়ারম্যানের নাম ভাঙিয়ে সরকারি প্রকল্পের কাজ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে কোনো টাকা নেইনি।
আর রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা হারুন মিয়া বলেন, আমি ওই ইউপি সদস্যকে কোনোরকম টাকা ধার দেইনি। আমাদের ইউনিয়নের ৪০ দিনের প্রকল্পের (অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি) একটি কাজ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে আমার সামনে ইউপি সদস্য সাদেকুর রহমান মসজিদ ফান্ডের ১৭ হাজার টাকা নিয়েছেন। এখন সেই টাকা দ্রুতসময়ের মধ্যে ফেরত দেবেন বলে জানিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মুনতাসির হাসান বলেন, এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসএ/আরআর-০৭