ধর্মপাশা প্রতিনিধি
মে ২৫, ২০২১
০৩:০২ পূর্বাহ্ন
আপডেট : মে ২৫, ২০২১
০৩:০২ পূর্বাহ্ন
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের আইড়ার দাইর ও কুড় জলমহালটি সরকারি নির্দেশনা না মেনে বেআইনিভাবে দূরবর্তী সমিতিকে তীরবর্তী দেখিয়ে ইজারা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের রাজাপুর সততা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি সোলেমান মিয়া গত বৃহস্পতিবার (২০ মে) ডাকযোগে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ পাঠিয়েছেন।
জেলা প্রশাসকের কাছে দেওয়া লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের আইড়ার দাইর ও কুড় জলমহালটি উপজেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনাধীন। এটি রাজাপুর মৌজায় অবস্থিত। জলমহালটির আয়তন ১৪ একর ৬৩ শতক। ১৪২৮ বঙ্গাব্দ থেকে ১৪৩০ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত এই জলমহালটি তিন বছর মেয়াদে ইজারা দেওয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসন বিজ্ঞপ্তি আহ্বান করে। সরকারি নীতিমালা মেনে উপজেলার রাজাপুর সততা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের পক্ষে সমিতির সভাপতি সোলেমান মিয়া জলমহালটি ইজারা পাওয়ার জন্য প্রায় দুইমাস আগে আবেদনপত্র সংগ্রহ করে তা ইউএনও'র কার্যালয়ে জমা দেন। নীতিমালা অনুযায়ী, জলমহালের তীরবর্তী সমিতির অনুকূলে জলমহালটি ইজারা দেওয়ার বিধান থাকলেও তা মানা হয়নি।
উপজেলার রাজাপুর সততা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি সোলেমান মিয়া বলেন, এই জলমহালটি আমাদের সমিতির তীরবর্তী হওয়া সত্ত্বেও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবু তালেব আর্থিক সুবিধা নিয়ে জলমহালটির দূরবর্তী আলোর ভুবন মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডকে তীরবর্তী দেখিয়ে বেআইনিভাবে ইজারা পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। তাই জলমহালটির ইজারা বাতিলের জন্য জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে বৃহস্পতিবার ডাকযোগে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছি।
তিনি আরও বলেন, জলমহালটির তীরবর্তী ও দূরবর্তী প্রতিবেদনের বিষয়টি পুনঃতদন্তের জন্য গত ২৮ এপ্রিল ইউএনও স্যারের কাছে আবেদন করলেও কোনো সুফল পাইনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবু তালেব বলেন, এই জলমহালটি আলোর ভূবন মৎস্যজীবী সমবায় সমিতিটি লিমিটেডের তীরবর্তী হওয়ায় এটির অনুকূলে প্রতিবেদন দিয়েছি। আমি কারও কাছ থেকে কোনো আর্থিক সুবিধা নেইনি। আমার বিরুদ্ধে যা অভিযোগ আনা হয়েছে তা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনতাসির হাসান বলেন, সমিতির তীরবর্তী ও দূরবর্তীর প্রতিবেদন দেন অ্যাসিল্যান্ড। প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতেই উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করে এই জলমহালটি ইজার দেওয়া হয়েছে। পুনঃতদন্তের জন্য আবেদন পেলেও উপজেলা কমিটি এটি গ্রহণ করেনি। তাই এ নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি।
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, অভিযোগটির বিষয়টি তদন্ত করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসএ/আরআর-১২