দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি
জুন ০৩, ২০২১
১১:৩৯ অপরাহ্ন
আপডেট : জুন ০৩, ২০২১
১১:৩৯ অপরাহ্ন
মানবিক কাজে এগিয়ে এসে সুনাম কুড়াচ্ছেন ইউপি সদস্য ধন মিয়া। ইতোমধ্যে তিনি সরকারি অনুদানের পাশাপাশি নিজস্ব অর্থায়নে সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ড করে একজন মানবিক ইউপি সদস্য হিসেবে এলাকায় বেশ আলোচনায় রয়েছেন।
ধন মিয়া সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের বাঁশতলা গ্রামের বাসিন্দা ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্য। প্রথমবার ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর একের পর এক মানবিক কাজ করে পশ্চাৎপদ সীমান্ত এলাকায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি।
স্থানীয় মৌলা নদীতে সেতু না থাকায় জনগণের পারাপারের সুবিধার্থে নিজ অর্থায়নে ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করে সবার নজরে আসেন ধন মিয়া। নিজের অর্থায়নে সেতুর কাজ শুরু করলেও সেতুটির নামকরণ করেন 'জনতা সেতু'। এ পর্যন্ত প্রায় ১৪ লাখ টাকা ব্যয় করে সেতুটির নির্মাণ কাজ প্রায় ৬০ শতাংশ শেষ করতে পারলেও সরকারি/বেসরকারি কোনো সহযোগিতা না পাওয়ায় এবং নিজের অর্থনৈতিক টানাপোড়েনের কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। যে কারণে সেতুটির নির্মাণ কাজ এখনও চলমান রয়েছে।
ইউপি সদস্য ধন মিয়া জনস্বার্থে এত বড় উদ্যোগ নিয়েই ক্ষান্ত হননি। পাশাপাশি তিনি মানবিক নানা কাজেও রয়েছেন সরব। কলোনি গ্রামের আবদুল মালেক নামের এক সেলুন ব্যবসায়ীর বসতঘর না থাকায় সম্প্রতি তিনি নিজ অর্থায়নে তাকে টিনশেডের একটি ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন। একইভাবে স্থানীয় আননপাড়া গ্রামে নিজের আন্তরিক উদ্যোগ ও এলাকাবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতা নিয়ে ১১০ ফুট দৈর্ঘ্যের তিনতলা বিশিষ্ট মাদরাসা ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। এছাড়া এলাকার অসহায় দরিদ্র মানুষদের বসতঘর নির্মাণে সহযোগিতাসহ মসজিদ, মাদরাসা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়নমূলক কাজে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন তিনি।
ধন মিয়া ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সরকারি অনুদানে তার মাধ্যমে ছোট-বড় অন্তত ৭টি কালভার্ট ও সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। সরকারি বরাদ্দে তার ওয়ার্ডে নতুন ৩টি গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ এবং ৮টি পুরাতন সড়কের সম্পূর্ণ সংস্কার কাজ করিয়েছেন তিনি। স্থানীয় সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিকের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এবং সরকারি অনুদানে শহীদ স্মৃতি উচ্চবিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত বাঁশতলা (হকনগর) শহীদদের কবরস্থানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজ করেন। সীমান্ত এলাকায় স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা নিশ্চিতকরণে ইতোমধ্যে তিনি ২৫০টি স্যানিটারি লেট্রিন স্থাপনসহ এলাকায় বিশুদ্ধ পানির সংকট দূরীকরণে সরকারি অর্থায়নে রিংওয়েলসহ প্রায় ৪০টি টিউবওয়েল স্থাপন করেছেন। করোনাকালে সরকারি অনুদানের পাশাপাশি নিজস্ব অর্থায়নে এলাকার গরিব ও অসহায় পরিবারের মধ্যে চাল, ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য বিতরণ করেছেন। তিনি অন্তত ২৫০ জনের মধ্যে প্রতিবন্ধী, বয়স্ক ও বিধবা ভাতা প্রদান করেছেন।
ইউপি সদস্য ধন মিয়া বলেন, আমার দুই ছেলে ইউরোপে থাকে। তাদের উপার্জিত টাকা থেকে অনেকটা অংশ এলাকার সামাজিক ও মানবিক কর্মকাণ্ডে আমি ব্যয় করি। পাশাপাশি সরকারি অনুদানে প্রাপ্ত বরাদ্দ থেকে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমার চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। যতদিন বেঁচে থাকি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী এলাকার মানুষের জন্য কাজ করে যাব।
আর এলাকাবাসী বলছেন, ইউপি সদস্য ধন মিয়ার আন্তরিক প্রচেষ্টায় বাংলাবাজার ইউনিয়নের মধ্যে সীমান্ত এলাকার বাঁশতলা (হকনগর), কলোনি, চৌধুরীপাড়া, মৌলারপাড় ও নতুন বাঁশতলা এই ৫টি গ্রাম এখন মডেল গ্রামে পরিণত হয়েছে।
এইচএইচ/আরআর-০৭