জৈন্তাপুরে নদীভাঙনে বিলীন হচ্ছে রাস্তা

জৈন্তাপুর প্রতিনিধি


জুন ০৫, ২০২১
০৭:০১ অপরাহ্ন


আপডেট : জুন ০৫, ২০২১
০৭:০১ অপরাহ্ন



জৈন্তাপুরে নদীভাঙনে বিলীন হচ্ছে রাস্তা
বিপাকে চারটি গ্রামের সাত হাজার বাসিন্দা

জৈন্তাপুর উপজেলার জৈন্তাপুর ইউনিয়নের ওয়াপদা ডাইক থেকে বাউরভাগ মল্লিফৌদ রাস্তাটি জনসাধারণের চলাচলের একমাত্র রাস্তা। কিন্তু সবুড়ী নদীর ভাঙনের কবলে পড়ে রাস্তাটি নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা পেতে মন্ত্রীসহ প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী।

সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গেলে মল্লীফৌদ গ্রামের বাসিন্দা তবারক আলী, ইউপি সদস্য ইসমাইল আলী, সমাজসেবী মাওলানা আব্দুল হান্নান, আলী আকবরসহ এলাকার শতাধিক মানুষ এ প্রতিবেদককে জানান, সর্বনাশা সবুড়ী নদীর ভাঙনের কবলে পড়ে গত কয়েকবছর থেকে উপজেলার জৈন্তাপুর ইউনিয়নের মল্লিফৌদ, কান্দি, কাটাখাল, চাতলাপাড় ও বাওন হাওর গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের চলাচলের রাস্তাটি নদীভাঙনের কবলে পড়ে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। 

জানা গেছে, সরকারি বরাদ্দে ১ কোটি ৩২ লাখ ৩৮ হাজার টাকা ব্যয়ে এলজিইডি'র প্রকল্পের আওতায় ওয়াপদা ডাইক থেকে মল্লীফৌদ পর্যন্ত রাস্তায় কার্পেটিংয়ের কাজ চলছে। সাম্প্রতিক ভারী বৃষ্টিপাতে পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় বাউরভাগ মল্লিফৌদ রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনের কারণে সরকারের উন্নয়নমূলক কাজে বাধার সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুতসময়ের মধ্যে সবুড়ী নদীর পাড় রক্ষার উদ্যোগ না নিলে নদীগর্ভে বিলীন হবে বাউরভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাউরভাগ মল্লিফৌদ গ্রামের বাসিন্দাদের বাড়িঘর, পীর সাহেবের মাজার ও মসজিদ। এছাড়া নষ্ট হবে প্রায় ৫ হাজার হেক্টর ফসলি জমি ও নদীগর্ভে বিলীন হবে ৪টি গ্রামের ৭ হাজারের অধিক জনসাধারণের চলাচলের ওয়াপদা ডাইক থেকে মল্লিফৌদ রাস্তাটি।

এলাকাবাসী জানান, আমরা দীর্ঘদিন থেকে নদীর পাড় রক্ষা এবং জনসাধারণের চলাচলের রাস্তাটির উন্নয়ন কাজের দাবি জানাচ্ছি। নদীর পাড় রক্ষার উদ্যোগ গ্রহণ করা না হলে বর্ষা মৌসুম শেষ হওয়ার পূর্বেই রাস্তাটি নদীগর্ভে বিলীন হবে। দ্রুতসময়ের মধ্যে সবুড়ী নদীর পাড় রক্ষার জন্য সিলেট-৪ আসনের সংসদ সদস্য, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইমরান আহমদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী।


আরকে/আরআর-০১