ধর্মপাশা প্রতিনিধি
জুন ১০, ২০২১
১২:১৬ পূর্বাহ্ন
আপডেট : জুন ১০, ২০২১
১২:১৬ পূর্বাহ্ন
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার বংশীকুণ্ডা উত্তর ইউনিয়নের একটি গ্রামে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রী (১৪) বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মুনতাসির হাসানের তৎপরতায় বুধবার (৯ জুন) সকালে ওই ছাত্রীর বিয়ে বন্ধ করা হয়।
উপজেলা প্রশাসন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বংশীকুণ্ডা উত্তর ইউনিয়নের বাসিন্দা ও স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই ছাত্রীর (১৪) সঙ্গে একই ইউনিয়নের এক যুবকের (২৪) বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা বুধবার বেলা ২টার দিকে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। স্থানীয় লোকজনদের মাধ্যমে এই বাল্যবিয়ের খবরটি বুধবার সকালে পেয়ে যান ইউএনও মো. মুনতাসির হাসান। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে বংশীকুণ্ডা উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসাইনকে বিয়েটি বন্ধ করার নির্দেশ দেন। এই বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুস ছাত্তারকে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ওই ছাত্রীর বাড়িতে পাঠিয়ে দেন ইউপি চেয়ারম্যান। ইউপি সদস্য ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে তার বাবা-মা ও স্বজনদের বাল্যবিয়ের কুফল ও রাষ্ট্রীয় আইনে
এই বিয়ের স্বীকৃতি নেই এমনটি বুঝিয়ে বলার পর তারা এই বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে সম্মত হন।
এদিকে ইউএনও পুলিশ নিয়ে ওই ছাত্রীর বাড়িতে যে কোনো সময় চলে আসতে পারেন- এমন খবর পেয়ে বর ও বরযাত্রীরা ওইদিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আসার কথা থাকলেও তারা আর কনের বাড়িতে আসেননি। ১৮ বছরের আগে ওই ছাত্রীকে কোথাও বিয়ে দেবেন না বলে মৌখিকভাবে ইউপি সদস্যের কাছে অঙ্গীকার করেন ছাত্রীর বাবা-মা ও স্বজনরা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) মো. মুনতাসির হাসান বলেন, বাল্যবিয়ে একটি অপরাধ। বাল্যবিয়ে বন্ধে উপজেলা প্রশাসন সর্বদা তৎপর রয়েছে।
এসএ/আরআর-০৬