দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি
জুন ১৬, ২০২১
১১:৫১ অপরাহ্ন
আপডেট : জুন ১৬, ২০২১
১১:৫১ অপরাহ্ন
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বড়বন, রায়নগর ও বাঘড়া গ্রামের ৭৭টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার তাদের স্বপ্নের ঠিকানা পেয়ে আনন্দ ও উল্লাস প্রকাশ করেছেন। বছরের পর বছর ভাঙা ঘরে সন্তানদের নিয়ে কষ্টে জীবনযাপন করা এসব পরিবার মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া এসব ঘর পেয়ে খুশিতে আত্মহারা। নিজেদের মাথা গোঁজার ঠাই করে দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর জন্য প্রাণ খুলে দোয়াও করেছেন অনেকে।
মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে সারা দেশের দোয়ারাবাজারের ভূমিহীন ও গৃহহীনরা ঘরের সঙ্গে জমির মালিকানার কাগজপত্র পেয়ে ভীষণ খুশি। তাদের অনেকের কাছেই এরকম একটি ঘরের মালিকানা পাওয়া ছিল স্বপ্নের মতো। অবশেষে তাদের এ স্বপ্ন পূরণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (১৬ জুন) সুবিধাভোগী পরিবারের ঘর পরিদর্শনকালে রায়নগর ও বড়বন গ্রামের রফিক মিয়া, এমরাজ আলী, ইসলাম, নেওয়ারুন, মমিন, করপোল নেছা, মিজান, দিপালী, আব্দুল বারী, সমছুল আহমদ, নুরিয়াসহ অনেকে তাদের অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, আমাদের ঘরের নির্মাণ কাজে যারা সার্বিক সহযোগিতা করেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। ঘরের নির্মাণ কাজ ভালো হয়েছে। টিন থেকে শুরু করে সিমেন্ট, বালু, ইট সবই ছিল ভালো মানের।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ও উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি তাজির উদ্দিন বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা অসহায়, দরিদ্র, গৃহহীন পরিবারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীসহ ছাতক-দোয়ারাবাজার আসনের সাংসদ মহোদয়কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আম্বিয়া আহমদ বলেন, দোয়ারাবাজার দুর্গম হাওর এলাকা হলেও ছাতক-দোয়ারাবাজার আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক মহোদয়ের পরামর্শক্রমে উপজেলা প্রশাসনের নিদের্শনায় দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হতদরিদ্রদের ঘর সুষ্ঠু ও সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাংশু কুমার সিংহ বলেন, দোয়ারাবাজার যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হাওর এলাকা হলেও প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের ঘর নির্মাণের কাজ সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে।
এইচএইচ/আরআর-০৩