দক্ষিণ সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
জুন ২৭, ২০২১
০৯:২১ অপরাহ্ন
আপডেট : জুন ২৭, ২০২১
০৯:২৪ অপরাহ্ন
সুনামগঞ্জের বিভিন্ন সড়কে পরিবহণ শ্রমিক ও মালিকদের কাছ থেকে অবৈধ ভাবে চাঁদা আদায়, জোরপূর্বক সদস্যকরণসহ নানা অভিযোগ উঠেছে সুনামগঞ্জ জেলা সিএনজি চালিত অটোরিক্সা, বেবিটেক্সি ও টেক্সিকার মালিক সমিতি রেজি: নং চট্ট-২৮৪২ এর বিরুদ্ধে।
রবিবার(২৭ জুন) দুপুর ১টায় জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার শান্তিগঞ্জ বাজারে স্থানীয় সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে শ্রমিক ও মালিকদের পক্ষে এ লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সুনামগঞ্জ জেলা সিএনজি চালিত অটো রিক্সা, মিশু ও টেক্সিকার ড্রাইভার্স ইউনিয়নের (রেজি: নং চট্ট-১৯২৬) সাবেক সাধারণ স¤পাদক হারুনুর রশিদ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হারুনুর রশিদ বলেন, আমাদের দক্ষিণ সুনামগঞ্জে ৪-৫শত সিএনজি আছে।
এসব সিএনজি থেকে আমাদের আঞ্চলিক শ্রম অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মহোদয়ের নির্দেশ অমান্য করে সুনামগঞ্জ জেলা সিএনজি চালিত অটোরিক্সা, বেবিটেক্সি ও টেক্সিকার মালিক সমিতি রেজি: নং চট্ট-২৮৪২ এর কর্মকর্তা কর্মচারীগণ তাদের নিজস্ব লোক দ্বারা মাসিক ১৫০-২৫০ ও দৈনিক ৩০ টাকা হারে সাধারণ চালকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করেন।
এছাড়াও কোনো ব্যক্তি নতুন সিএনজি ক্রয় করে রাস্তায় নামালে ভর্তির নাম করে তাদেরকে বাধ্যতামূলকভাবে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়। চাঁদা না দিলে তাদের নিজস্ব লোক দ্বারা গাড়ি চলাচলে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন তারা।
এভাবে প্রতিবছর সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে কোটি কোটি টাকা তারা হাতিয়ে নিচ্ছেন। ফাঁকি দিচ্ছেন সরকারি করও।
এসব ছাড়াও সুনামগঞ্জ জেলা সিএনজি চালিত অটোরিক্সা, বেবিটেক্সি ও টেক্সিকার মালিক সমিতি রেজি: নং চট্ট-২৮৪২ এর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে আরো নানা অভিযোগের কথা লিখিত বক্তব্যে বলেন তিনি।
জেলায় ৩-৪ হাজার সিএনজি মালিক থাকা সত্তে¡ও শ্রম অধিদপ্তরে ২০১৭ সালে ৩শ ও ২০২০ সালে ৫শ জন সদস্য দেখানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, চাঁদা দেওয়া প্রতি গাড়িতে মালিক সমিতির একটি বিশেষ স্টিকার লাগানো হয়। এ স্টিকার থাকলে গাড়ির কাগজও লাগে না। স্টিকার গাড়িতে লাগানো থাকলে ট্রাফিক পুলিশ সেই গাড়িকে সিগনালই দেয় না।
ইতোপূর্বে এসব অভিযোগ করার কারণে নানা ভাবে ট্রাফিক পুলিশ শামসুজ্জামান ও মালিক সমিতির লোকজন আমাকে হুমকি ধামকি প্রদান করেছে।
এখন আমি ও আমার শ্রমিকগণ জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছি। শ্রমিক নেতাদের কর্তৃক চাঁদাবাজি বন্ধে বাংলাদেশ শ্রম অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- সুনামগঞ্জ জেলা সিএনজি চালিত অটো রিক্সা, মিশু ও টেক্সিকার ড্রাইভার্স ইউনিয়নের (রেজি: নং চট্ট-১৯২৬) সাবেক সহ-সভাপতি জহিরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ শাহ সুমন আল ফারুক, কার্যকরী সদস্য মো. আবদুল হেকিম, বাংলাদেশ মটর শ্রমিকলীগ দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা জেলা শাখার সভাপতি মো. আবদুল আউয়াল, সাবেক সদস্য এরশাদ আলী, সিনিয়র শ্রমিক নেতা সোহাগ মিয়া, আবদুল ওয়াকিব, খলিলুর রহমান, মোসাদ্দিক হোসেন ও বাংলাদেশ মটর শ্রমিকলীগ পশ্চিম পাগলা ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি ও বাছির তালুকদার।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ জেলা সিএনজি চালিত অটোরিক্সা, বেবিটেক্সি ও টেক্সিকার মালিক সমিতি (রেজি: নং চট্ট-২৮৪২) বর্তমান সভাপতি তাজুদ আহমদ সাজু এ প্রতিবেদককে জানান, আমরা রশিদের মাধ্যমে টাকা নিই, প্রতি রশিদে টাকার সংখ্যা লিখে দেওয়া হয়। এটা আমাদের গঠনতন্ত্রে আছে। তবে মানিক চাঁদা ও গাড়ি ভর্তির টাকা গুলো সমিতির সারা বছরের খরচ শেষে মালিকদের মধ্যে বিতরণ করে দেওয়া হয়।
এস টি/বি এন-০৮