হাকালুকিতে বৃক্ষ নিধন : পরিদর্শনে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক

বড়লেখা প্রতিনিধি


জুন ২৭, ২০২১
০৭:০৫ অপরাহ্ন


আপডেট : জুন ২৭, ২০২১
০৭:০৫ অপরাহ্ন



হাকালুকিতে বৃক্ষ নিধন : পরিদর্শনে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক

বাঁধ নির্মাণের নামে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন হাকালুকি হাওরের মালাম বিলের দক্ষিণ-পূর্ব পাশের খাসজমি থেকে জলজ বৃক্ষ নিধনের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক মোহাম্মদ এমরান হোসেন।

শনিবার (২৬ জুন) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত তিনি মালাম বিল এলাকায় ইজারাদার কর্তৃক অবৈধভাবে নির্মিত বাঁধ ও নির্বিচারে হিজল, করচ, বরুণসহ প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা গাছ কেটে ফেলার স্থান ঘুরে দেখেন।

পরিদর্শন শেষে পরিবেশ অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক মোহাম্মদ এমরান হোসেন বলেন, আমরা সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এখানে কী কী গাছ কাটা হয়েছে, এগুলো দেখেছি। পরিবেশের যে ক্ষতি হয়েছে তা কীভাবে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়া যায়, তার একটা পরিমাপ করলাম। এতে জরুরিভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে। পরিবেশের ক্ষতির সঙ্গে জড়িত যেই হোক, প্রচলিত আইনে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পরিদর্শনকালে তার সঙ্গে ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর মৌলভীবাজারের সহকারী পরিচালক মো. বদরুল হুদা, বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার, তালিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিদ্যুৎ কান্তি দাস, বর্ণি ইউনিয়ন পরিষদের ভরপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন ও হাকালুকি জাগরণী ইসিএ ব্যবস্থাপনা বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি ও সম্পাদক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মে মাসের শেষদিকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন হাকালুকি হাওরের মালাম বিলের দক্ষিণ-পূর্ব পাশের খাসজমির হিজল-খরচ-বরুণসহ নানা প্রজাতির এবং প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো প্রায় ২০ হাজার জলজ গাছ কেটে অবৈধ বাঁধ নির্মাণ করে জলমহালের লোকজন। এ ঘটনায় গত ২১ জুন পরিবেশ অধিদপ্তর মৌলভীবাজার কার্যালয়ের পরিদর্শক নজরুল ইসলাম জলজ বৃক্ষ নিধনে সম্পৃক্ত ৭ ব্যক্তির নাম উল্লেখ ও আরও ১৫-২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন এবং প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ব্যবস্থাপনা বিধিমালায় বড়লেখা থানায় মামলা করেন।


এজে/আরআর-০৪