‘খালেদা জিয়া অপরাধ করেননি, ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই আসে না’

সিলেট মিরর ডেস্ক


জুলাই ০১, ২০২১
০৭:৪৫ অপরাহ্ন


আপডেট : জুলাই ০১, ২০২১
০৭:৪৫ অপরাহ্ন



‘খালেদা জিয়া অপরাধ করেননি, ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই আসে না’

‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া কোনো অপরাধ করেননি। তাই ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই আসে না।’ বুধবার জাতীয় সংসদে আইনমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির পক্ষ থেকে এ মন্তব্য করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত ও সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, যিনি কোনো অপরাধই করেননি, তার ক্ষমা চাওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিয়ে আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের মাধ্যমে সরকারের হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের প্রতিফলন ঘটেছে, যা ভ্রষ্টাচার ছাড়া কিছুই নয়। এগুলো তাদের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ এবং রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ ও কলুষিত করার ব্যর্থ চেষ্টা বলে আমরা মনে করি।

তিনি বলেন, কর্তৃত্ববাদী সরকার যখন যেটা মনে করে সেটি জনগণের ওপর চাপিয়ে দেয়; একই সঙ্গে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালায়। বিএনপি আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানায়।

প্রিন্স বলেন, খালেদা জিয়া অসুস্থ। তিনি কোভিডে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ৫৩ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। বর্তমানে তিনি লিভার, কিডনি ও হার্টের বিভিন্ন জটিলতায় তীব্র অসুস্থ অবস্থায় নিজ বাসভবনে চিকিৎসাধীন। তার চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড উন্নত চিকিৎসার জন্য আরও উন্নত হাসপাতালে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছে, যা বাংলাদেশে সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, সরকারকে ছলচাতুরী ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরিহার করে দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে তার সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করার আহ্বান জানাচ্ছে বিএনপি।

প্রিন্স বলেন, সরকার খালেদা জিয়াকে ভয় পায়। ভয় পায় তার জনপ্রিয়তা ও নেতৃত্বকে। এ জন্য তারা ফরমায়েশি রায়ের ওপর ভিত্তি করে তাকে অন্যায়ভাবে আটকে রেখে রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখছে। সরকার উন্নত চিকিৎসার পথে বাধা সৃষ্টি করে তাকে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে চায়।

করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, অবিলম্বে জেলা-উপজেলায় সরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী, চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ, অধিকহারে করোনা পরীক্ষা ও সবাইকে দ্রুত টিকার আওতায় এনে নিম্ন ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য বিনামূল্যে করোনা চিকিৎসা করতে হবে। দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহমেদ ও ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক আবদুস সাত্তার পাটোয়ারি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বিএ-০৩