লকডাউনে অভুক্ত কুকুরদের পাশে সুয়েল

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি


জুলাই ০৩, ২০২১
০৮:০৬ অপরাহ্ন


আপডেট : জুলাই ০৩, ২০২১
০৮:০৬ অপরাহ্ন



লকডাউনে অভুক্ত কুকুরদের পাশে সুয়েল

কঠোর লকডাউনে নিম্ন আয়ের মানুষ অনেকটা দিশেহারা। বাধা পড়েছে তাদের দৈনন্দিন কাজে। সাধারণ চলাফেরাও করতে পারছে না মানুষ। খেটে খাওয়া মানুষের তিনবেলার খাওয়া-দাওয়ায় পড়েছে ছেদ। তবে এসব মানুষ তাদের সমস্যার কথা বলতে পারছেন পাশের কাউকে। কিন্তু রাস্তায় থাকা মালিকবিহীন অভুক্ত অবলা কুকুরগুলোর পাশে দাঁড়ায় না কেউ। রেস্তোরাঁগুলো বন্ধ থাকায় জোটে না তাদের খাবার। কঠোর লকডাউনের এই সময়ে অভুক্ত কুকুরগুলোর সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন মৌলভীবাজারের সুয়েল আহমদ।

জানা যায়, গতবছর দীর্ঘ সময়ের লকডাউনে যখন অভুক্ত ছিল মালিকবিহীন কুকুরগুলো, তখনও তাদের জন্য খাবার নিয়ে এগিয়ে আসেন সুয়েল। তার বাড়ি জেলা সদরের কনকপুর এলাকায়। গতবছর তিনি প্রায় দেড় মাস ধরে প্রতিদিন মৌলভীবাজার শহরের অন্তত ২০০ কুকুরকে খাবার দেন।

চলতি লকডাউনেও এগিয়ে এসেছেন সুয়েল আহমদ। কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিন থেকে মৌলভীবাজার শহরের কুকুরগুলোর মাঝে খাবার বিলিয়ে দিচ্ছেন তিনি। চলতি সপ্তাহের প্রথমদিকে শতাধিক কুকুরকে খাবার দিয়েছেন বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।

সুয়েল আহমদ বলেন, মানুষ মুখ খুলে বলতে পারে, তাই সে কোনো না কোনোভাবে খাবার পেয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এই প্রাণীগুলো মালিকবিহীন অবস্থায় বসবাস করে মানুষের পাশেই। তাদের খাবারের প্রয়োজন মেটাতে আমি গতবছরের মতো এ বছরও খাবার বিলি করছি। এবার লকডাউনের প্রথমদিনে ২০০ কুকুরের জন্য খাবার তৈরি করেছিলাম। আজ (শনিবার) বিকেল পর্যন্ত ১০০ কুকুরকে খাবার দিয়েছি। যতদিন কঠোর লকডাউন থাকবে, ততদিন এই খাবার বিলি করা হবে।

মৌলভীবাজারের পাশাপাশি আগামীকাল রবিবার থেকে শ্রীমঙ্গল শহরেও কুকুরের জন্য খাবার বিলি করবেন বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয়ে মৌলভীবাজারের পরিবেশকর্মী রিপন দে বলেন, এই প্রাণীগুলো মানুষের আশপাশেই বসবাস করে। মানুষের ফেলে দেওয়া খাবার তাদের বেঁচে থাকার উৎস। যেহেতু কঠোর লকডাউন চলছে, তাই তারা খাবারের সংকটে পড়েছে। এমন সময় তাদের জন্য কারও এগিয়ে আসা প্রশংসার দাবি রাখে।


এসএইচ/আরআর-১১