কমলগঞ্জে ঋণের কিস্তি পরিশোধে চাপ সৃষ্টির অভিযোগ

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি


জুলাই ০৬, ২০২১
০১:৫৮ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জুলাই ০৬, ২০২১
০১:৫৮ পূর্বাহ্ন



কমলগঞ্জে ঋণের কিস্তি পরিশোধে চাপ সৃষ্টির অভিযোগ

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় কঠোর লকডাউনের মধ্যেই সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে কর্মহীন লোকজনের কাছে গিয়ে ঋণের কিস্তি পরিশোধের জন্য চাপ সৃষ্টির অভিযোগ পাওয়া গেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের বিরুদ্ধে। ঋণের কিস্তি পরিশোধে বিপাকে পড়ে হিমশিম খাচ্ছেন কর্মহীন ঋণগ্রহীতারা। তবে ব্র্যাকের পক্ষ থেকে অভিযোগটি অস্বীকার করে বলা হয়েছে, তারা কোনো চাপ দিচ্ছেন না।

করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার পর থেকে মৃত্যু ও আক্রান্তের হার বাড়তে থাকায় সরকার দেশজুড়ে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে। ফলে সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, যানবাহন বন্ধ হয়ে গেছে। নিম্ন আয়ের মানুষের আয়-রোজগার একরকম বন্ধ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কমলগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে ব্র্যাক'র মাঠকর্মীরা ক্ষুদ্র ঋণগ্রহীতাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কিস্তি আদায়ে চাপ প্রয়োগ করে বাধ্য করছেন ঋণ পরিশোধে। এতে কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে হিমশিম খাচ্ছেন কর্মহীন ঋণগ্রহীতারা।

নাম প্রাকাশে অনিচ্ছুক একজন ঋণগ্রহীতা এ প্রতিবেদককে জানান, লকডাউনের মধ্যে হাতে কাজ নেই। এর মধ্যেই ব্র্যাকের কিস্তির জন্য চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। কিস্তি পরিশোধ না করলে আর ঋণ দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করা হচ্ছে।

এদিকে সোমবার (৫ জুলাই) উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের দেওড়াছড়া চা-বাগানে শমশেরনগর ব্র্যাক সমিতির মাঠকর্মী শিপ্রা সরকারকে ঋণগ্রহীতাদের কাছ থেকে কিস্তি আদায় করতে দেখা গেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিস্তি আদায় না করলে অফিস থেকে বেতন দেওয়া হয় না। আর আমি কারো কাছ থেকে জোরপূর্বক কিস্তি আদায় করছি না। কেউ নিজের ইচ্ছায় দিলে তা গ্রহণ করছি।

এ বিষয়ে ব্র্যাক শমশেরনগর অফিসের ব্যবস্থাপক সাইদুর রহমান বলেন, ঋণগ্রহীতারা অফিসে ফোন করে কিস্তি নেওয়ার কথা বলায় আমরা লোক পাঠিয়ে কিস্তি আদায় করছি।

কমলগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন, ব্র্যাকের মৌলভীবাজার জেলা অফিসকে বলা হয়েছে কিস্তি আদায় বন্ধ রাখার জন্য। না হলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


এসডি/আরআর-১৪