সাইদুর রহমান আসাদ, সুনামগঞ্জ
জুলাই ১২, ২০২১
১০:১১ অপরাহ্ন
আপডেট : জুলাই ১২, ২০২১
১০:১১ অপরাহ্ন
সুনামগঞ্জে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ৩০ কেজি এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বেড়েছে ৩০০ টাকা ও ১২ কেজি এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বেড়েছে প্রায় ১৫০ টাকা করে। নিত্যপ্রয়োজনীয় এই গ্যাসের দাম বৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছেন এলপিজি গ্যাস ব্যবহারকারী নিম্ন আয়ের মানুষেরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাজারে ৩০ কেজি এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম খুচরায় পাওয়া যেত ২ হাজার ৩০০ টাকায়। এখন সেটির দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬০০ টাকা। ১২ কেজি এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ছিল ৯০০ থেকে ৯৫০ টাকা। এটির দাম বেড়ে হয়েছে এখন ১ হাজার ৫০ টাকা। গ্যাসের দাম বেড়ে যাওয়ায় নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের নাভিশ্বাস হওয়ার উপক্রম হয়েছে। চায়ের দোকানিরা খরচ পোষাতে চায়ের দামও বাড়িয়ে দিয়েছেন।
এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের ডিস্ট্রিবিউটর সূত্রে জানা যায়, কোম্পানি থেকেই চলতি মাসে গ্যাস সিলিন্ডারের দাম কিছুটা বৃদ্ধি করা হয়েছে। গত মাসে ১২ কেজি এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ছিল ৮৮০ টাকা। এ মাসে তারা বিক্রি করছেন ১ হাজার টাকা করে। ৩০ কেজি এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ছিল ২ হাজার ১০০ টাকা। এ মাসে এটি তারা বিক্রি করছেন ২ হাজার ৪০০ টাকা করে দরে।
চায়ের দোকানি সুজন মিয়া জানান, তিনি দুইদিন আগে ৩০ কেজির এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার ২ হাজার ৬০০ টাকা দিয়ে কিনে এনেছেন। অথচ এর আগের সিলিন্ডার কিনে এনেছেন ২ হাজার ৩০০ টাকা দিয়ে। সিলিন্ডারপ্রতি ৩০০ টাকা দাম বৃদ্ধিতে তার চা ব্যবসা এখন লোকসানের মুখে। জিনিসপত্রের দাম যেভাবে বেড়েছে, তাতে এখন এক কাপ চায়ের পেছনে খরচ হয় ৪ টাকার উপরে। এই চা ৫ টাকায় বিক্রি করলে এখন পোষাবে না। এজন্য প্রতি কাপ চা ৬ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। ক্রেতাও কিছুটা কমে গেছে।
স্থানীয় সুবাস শাহ বলেন, গত মাসেও ১২ কেজি গ্যাস সিলিন্ডার ৯৫০ টাকা করে কিনে এনেছি। এ মাসে একই পরিমাণের সিলিন্ডার কিনতে হচ্ছে ১ হাজার ৫০ টাকা করে। এই লকডাউনে এমনিতেই আয়-রোজগার তেমন একটা নেই। অতিরিক্ত দামে গ্যাস সিলিন্ডার কিনে আনতে নাভিশ্বাস উঠে গেছে আমাদের।
গ্যাস সিলিন্ডারের খুচরা বিক্রেতা ইব্রাহীম মাজেদ বলেন, দাম বৃদ্ধির সঙ্গে লকডাউনের কোনো সম্পর্ক নেই। এ মাসে আমরা পাইকারিভাবেই অতিরিক্ত দাম দিয়ে গ্যাস সিলিন্ডার কিনে আনতে হয়েছে। তাই আমরাও কিছুটা দাম বৃদ্ধি করে বিক্রি করছি।
বসুন্ধরা এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের সুনামগঞ্জ জেলার সেলস অ্যাক্সিকিউটিভ অফিসার অজয় কুমার সিনহা বলেন, সারা দেশে ৩০টি এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহকারী কোম্পানি রয়েছে। প্রত্যেকটি কোম্পানিই আলাদা আলাদা করে সিলিন্ডারের দাম বৃদ্ধি করেছে। কারণ এর কাঁচামাল আনতে হয় বাইরের দেশ থেকে। কাঁচামাল কিনে আনতেই কিছুটা বাড়তি দাম দিতে হচ্ছে।
সরকারি মূল্য ও কোম্পানির মূল্যের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, খুচরা বিক্রেতাদের কাছে ৩০ কেজি সিলিন্ডার ২ হাজার ৪০০ টাকা করে আমরা বিক্রি করি। ১২ কেজি সিলিন্ডার ১ হাজার টাকা করে বিক্রি করি। এখন খুচরা বিক্রেতারা কত টাকায় বিক্রি করেন, সেটা আমরা জানি না।
এএম/আরআর-০২