সিলেট মিরর ডেস্ক
জুলাই ১৬, ২০২১
০৮:৫৪ অপরাহ্ন
আপডেট : জুলাই ১৬, ২০২১
০৮:৫৪ অপরাহ্ন
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ভারতে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা কমে সাড়ে পাঁচশোর নিচে নেমে এসেছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন সংক্রমিত রোগীর সংখ্যাও।
দেশটিতে দৈনিক সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। পাশাপাশি গত ২৪ ঘণ্টায় সক্রিয় রোগীও কমেছে। গত একদিনে ভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত রোগীর তুলনায় দেশটিতে সুস্থ হয়েছেন বেশি মানুষ।
শুক্রবার (১৬ জুলাই) ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩৮ হাজার ৯৪৯ জন মানুষ। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় দেশটিতে নতুন সংক্রমিত রোগী কমেছে প্রায় ৩ হাজার।
সর্বশেষ এই সংখ্যাসহ মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ১০ লাখ ২৬ হাজার ৮২৯ জন।
অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৪২ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় গত একদিনে মৃত্যু কমেছে ৩৯ জন। দেশটির দৈনিক মৃত্যু গত দু’দিন ধরেই ৬০০-র নিচে রয়েছে। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৪ লাখ ১২ হাজার ৫৩১ জন।
এদিকে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ভারতে দৈনিক আক্রান্তের তুলনায় বেশি সংখ্যক মানুষ সুস্থ হয়েছেন। ফলে দেশটিতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমার ধারবাহিকতা বজায় রয়েছে। গত একদিনে ভারতে সুস্থ হয়েছেন ৪০ হাজার মানুষ। অন্যদিকে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩৯ হাজার। সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ২৮ শতাংশ।
একসময় দেশটিতে ৩৭ লাখের বেশি সক্রিয় রোগী থাকলেও কমতে কমতে সেই সংখ্যা নেমে এসেছে প্রায় সোয়া ৪ লাখে। দেশটিতে এখন মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৪ লাখ ৩০ হাজার ৪২২ জন।
ভারতের অধিকাংশ রাজ্যেই সংক্রমণ পরিস্থিতি বেশ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ব্যতিক্রম কেবল কয়েকটি রাজ্যে।
দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালায় দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন সাড়ে ১৩ হাজারের বেশি মানুষ। মহারাষ্ট্রে এই সংখ্যা ৮ হাজারের বেশি।
তামিলনাড়ু এবং অন্ধ্রপ্রদেশে আড়াই হাজার। কর্নাটক, উড়িষ্যা এবং আসামে তা ২ হাজারের আশপাশে।
আসাম ছাড়াও উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্য রাজ্যগুলোর অবস্থাও বেশ খারাপ। করোনার প্রথম ঢেউ তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি এই রাজ্যগুলোতে। মণিপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৩৯ জন।
এছাড়া ত্রিপুরা, অরুণাচল প্রদেশ, মিজোরামে দৈনিক সংক্রমণ ৪০০ থেকে ৫০০-র মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। সিকিম এবং নাগাল্যান্ডেও ১৫০-র আশপাশে রয়েছে দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা।
বি এন-০৭