সজীব দেবরায়, কমলগঞ্জ
জুলাই ১৭, ২০২১
১২:৩৮ পূর্বাহ্ন
আপডেট : জুলাই ১৭, ২০২১
১২:৩৮ পূর্বাহ্ন
চলতি মৌসুমে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে লেবুর বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলার বিস্তীর্ণ পাহাড়ি ও বাগানের জমিতে উৎপন্ন লেবু এখন বেশ জনপ্রিয় এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এ লেবুর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। ভালো ফলন হলেও দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে লেবুর বাজারজাতকরন নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন চাষিরা। তবে লেবুর দাম তুলনামূলক কম হলেও বাম্পার ফলন হওয়ায় খুশি কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে কমলগঞ্জে প্রায় ১৪০ হেক্টর জমিতে লেবুর চাষ হয়েছে। সারা বছরই লেবুর ফলন পাওয়া যায় বলে এখানে লেবুর চাষ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। প্রতিনিয়তই এখানে লেবু চাষিদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃষি বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও কৃষকরা ঠিকমতো পরিচর্যা করায় চলতি মৌসুমে লেবুর বাম্পার ফলন হয়েছে।
স্থানীয় লেবু চাষিরা জানান, চলতি মৌসুমে কমলগঞ্জে ব্যাপকহারে লেবুর চাষ করেছেন তারা। লেবুর ফলন ভালো হয়েছে, চাহিদাও ভালো। করোনাভাইরাসের কারণে উপজেলার বাইরে লেবু বাজারজাত করতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। যদি বাজারটাও ভালো হতো, তাহলে দামটা বেশি পাওয়া যেত। আরও কিছুটা বেশি দামে বিক্রি করতে পারলে বেশ লাভবান হওয়া যেত। বর্তমানে লেবু পাইকারি বাজারে হালিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৭-৮ টাকায় আর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১০-১২ টাকায়। দাম কম থাকলেও ভালো ফলন হওয়ায় কৃষকরা খুশি।
কমলগঞ্জের লেবু চাষি বিজয় দেব বলেন, আমাদের এলাকার অন্যান্য লেবু চাষিদের দেখে লেবু চাষ শুরু করেছিলাম। পরিচর্যা ঠিকমতো করায় লেবুর বাম্পার ফলন হয়েছে। দেশে করোনাভাইরাসের কারণে লেবু বাজারজাত করতে সমস্যা হচ্ছে। বাজারে লেবুর চাহিদা থাকলেও দাম তুলনামূলক কম।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন সিলেট মিররকে জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও ভালো ফলন হওয়ার কারণে লেবু চাষে আগ্রহী হয়েছেন চাষিরা। তাছাড়া লেবু চাষে খুব একটা কীটনাশক ব্যবহারের প্রয়োজন হয় না। বছরব্যাপী লেবুর চাষ হওয়ায় গাছের আগা মরা রোগের জন্য কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়। আমরা লেবু চাষের ব্যাপারে সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছি। মাঠপর্যায়ে আমাদের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছেন। কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করছেন তারা।
এসডি/আরআর-০৯