সজীব দেবরায়, কমলগঞ্জ
জুলাই ১৭, ২০২১
০৯:১০ অপরাহ্ন
আপডেট : জুলাই ১৭, ২০২১
০৯:১০ অপরাহ্ন
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। স্থানীয় প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় চলছে হাটে বেচা-কেনা। ক্রেতাদের সমাগম বাড়ায় গরুর দামও কিছুটা বেড়েছে। এতে হতাশাগ্রস্ত খামারিদের মুখে কিছুটা হাসি ফুটেছে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে কাজ করছে বাজার কমিটি ও প্রশাসন। তারপরও অধিকাংশ লোকের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি।
গতকাল শুক্রবার (১৬ জুলাই) বিকেলে কমলগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী পশুর হাট আদমপুর বাজারে গেলে দেখা যায়, হাটে বিপুল পরিমাণ গরু, মহিষ ও ছাগলের বেচা-কেনা চলছে। সরগরম হয়ে উঠেছে স্থানীয় পশুর হাট। হাটে দেশি জাতের গরুর আধিক্য দেখা যায়।
রামপুর গ্রামের রমুজ মিয়া ও নইনারপর গ্রামের সাব্বির এলাহী নামের দুই ক্রেতা জানান, লকডাউন শিথিল হওয়ায় আদমপুর গরুর হাটে গরুর দাম ঊর্ধ্বমুখী। এতে ক্রেতারা খুশি না হলেও খামারি ও বিক্রেতাদের মুখে হাসি ফুটেছে। গত সোমবার হাটে যে গরুর দাম ছিল ৬০-৬৫ হাজার টাকা, সেই গরু শুক্রবার ৭০-৭৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। এর কারণ জানতে চাইলে তারা বলেন, অনেকেই পশুকে খাওয়ানো ও রাখার বিষয়টি ঝামেলা মনে করে শেষদিকে গরু কিনছেন। তাই এখন ক্রেতা বেশি।
আদমপুর বাজারের পশুর হাটে দেখা যায়, দেশি গরুতে বাজার সয়লাব। বিক্রেতারা বড় গরুর দাম হাঁকছেন ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া সর্বনিম্ন ৪০-৫০ হাজার টাকায়ও মিলছে গরু। কোরবানিদাতারা বড় গরু বেশি কিনছেন।
আদমপুরের খামারি আনিছুর রহমান বলেন, গরুর বাজার প্রথমদিকে একটু মন্দা গেছে। তবে এখন ভালো। শুক্রবার আদমপুর পশুর হাটে আমার একটি গরু বিক্রি হয়েছে ৮৫ হাজার টাকায়।
আদমপুর বাজারের ইজারাদার জুয়েল চৌধুরী বলেন, করোনা মহামারীর কারণে এবার আমরা খুব লোকসানে আছি। গত সপ্তাহে এ পশুর হাটে তেমন বেচা-কেনা হয়নি। লকডাউন শিথিল হওয়ায় শুক্রবার মোটামুটি বেচা-কেনা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে ৩টি স্থানে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে ও প্রায় ৪০০ লোকের মাঝে মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হেদায়েত আলী জানান, উপজেলায় কোরবানি ঈদ উপলক্ষে প্রস্তুত গরুর সংখ্যা ৬ হাজার। এ উপজেলায় অর্ধশতাধিক খামারি রয়েছেন। এবার চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত গরু রয়েছে। কোরবানির জন্য ক্রেতারা যাতে সুস্থ-সবল পশু পেতে পারেন, সেদিকে লক্ষ্য রেখে আগে থেকেই খামারিদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া হাটগুলোতে প্রাণিসম্পদ বিভাগের মেডিকেল টিম কাজ করছে। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার জন্য পুলিশ প্রশাসনও কাজ করছে।
এসডি/আরআর-০১