ক্রেতাশূন্য সুনামগঞ্জ পৌরসভার প্রথমদিনের পশুর হাট

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি


জুলাই ১৮, ২০২১
১২:০২ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জুলাই ১৮, ২০২১
১২:০২ পূর্বাহ্ন



ক্রেতাশূন্য সুনামগঞ্জ পৌরসভার প্রথমদিনের পশুর হাট

আবুল এসেছে সুনামগঞ্জ পৌরসভার নির্ধারিত কোরবানির পশুর হাটে। মানুষের নামে নাম হলেও এটি আসলে কোরবানির গরু। গরুর মালিক সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের কাচা ষোলোঘরের বাসিন্দা মো. কামাল হোসেন। তিনি আদর করে গরুটির নাম দিয়েছেন আবুল। এই আবুলের জন্য দাম চাওয়া হয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা।

অন্যান্য বছরের মতো এবারের প্রথমদিনের কোরবানির হাট জমজমাট হয়নি। শনিবার (১৭ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গরু বিক্রেতা ও ক্রেতার সংখ্যা তেমন বেশি ছিল না। দিনের শুরু থেকে বৃষ্টির কারণে এমন দশা হয়েছে। তবে দুপুরের পর থেকে হাটে ক্রেতা ও বিক্রেতারা জমায়েত হতে থাকেন। জমায়েত হওয়া ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য শারীরিক দূরত্ব রেখে হাটের ব্যবস্থা করেছে কর্তৃপক্ষ। 

সদর উপজেলার কোরবান নগর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণগাঁওয়ের গরু বিক্রেতা মো. শাহিদ মিয়া হাটে এসেছেন ৩টি গরু নিয়ে। গরুগুলোর আকার অনুযায়ী দাম চেয়েছেন ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা ও ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

বিকেল ৪টায় এ প্রতিবেদকের সঙ্গে দেখা হয় ওই গরু বিক্রেতার। তিনি জানান, দুপুরের দিকে হাটে গরু নিয়ে এসেছেন। বিকেল হয়ে এলেও এখন পর্যন্ত কেবল ছোট গরুটির দাম-দর করেছেন ক্রেতারা। তবে দাম-দরে বনিবনা না হওয়ায় বিক্রি করেননি তিনি।

প্রথমদিনে হাটে ক্রেতা বেশি আসেননি উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোরবানি দেওয়ার মতো টাকা মানুষের হাতে নেই। এজন্য হাটে মানুষ বেশি আসেননি। যারা এসেছেন তারা ছোট গরু দাম-দর করছেন। 

আলী পাড়ার বাসিন্দা আজিজুর রহমান বলেন, হাটে গরু কিনতে এসেছিলাম। এসে দেখলাম গতবারের চেয়ে এবার গরুর দাম বেশি। হাটে গরু কম আসায় আজকে দাম বেশি মনে হচ্ছে। 

পৌরসভার পশুর হাট পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ওয়াসিম আহমেদ বলেন, আজকে প্রথমদিন হওয়ায় গরু বিক্রেতা ও ক্রেতারা বেশি আসেননি। তবে দ্বিতীয়দিন থেকে এখানকার হাটে ক্রেতা-বিক্রেতার সংখ্যা বাড়বে।


এএম/আরআর-১০