সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর মাদরাসাছাত্রীর আত্মহত্যা

সিলেট মিরর ডেস্ক


জুলাই ২৮, ২০২১
০৭:৪০ অপরাহ্ন


আপডেট : জুলাই ২৮, ২০২১
০৭:৪০ অপরাহ্ন



সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর মাদরাসাছাত্রীর আত্মহত্যা

কক্সবাজারের পেকুয়ার রাজাখালীতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে মাদরাসা ছাত্রীকে অপহরণ, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অপরাধে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা নিয়েছে পুলিশ।

শুক্রবার হাজিপাড়ার নিজ বাড়ি থেকে মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে গভীর রাতে বাড়ির জানালা ভেঙে তুলে নিয়ে যায় তিন বখাটে। এ সময় পাশের রুমে থাকা বড়ভাইকে দরজার ছিটকিনি দিয়ে আটকে রাখা হয়। তারা মিয়াপাড়া নুরুন নাহার চৌধুরাণী জামে মসজিদ ও কবরস্থানের পুকুরের টং ঘরে নিয়ে গিয়ে ওই ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ ঘটনার পর অপমানে বিষপানে আত্মহত্যা করে ওই ছাত্রী।

ওই ছাত্রীর (১৪) দিনমজুর বাবা বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে থানায় নতুন করে এজাহার জমা দিলে মঙ্গলবার রাতে তা মামলা হিসেবে রুজু হয়।

এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সঙ্গে ছিলেন চকরিয়া-পেকুয়া সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. তফিকুল আলম, থানার ওসি সাইফুর রহমান মজুমদার।

পরিদর্শনকালে ছাত্রীর মা, বাবা, ভাইসহ পাড়া-প্রতিবেশী এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা শোনেন পুলিশের কর্মকর্তারা। এরপর বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হলে নির্দেশনা মোতাবেক রাতেই থানায় মামলা রুজু করা হয়।

পেকুয়া থানার ওসি সাইফুর রহমান মজুমদার জানান, বিষপানে আত্মহত্যার পর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে লিপিবদ্ধ মৃত্যুর রেকর্ড অনুযায়ী প্রথমে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হয়। তবে প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষণের সত্যতা পাওয়ায় নতুন করে অপহরণ, ধর্ষণ ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা ও সহায়তার অপরাধের মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ডের হলুরঘাট ওয়াইজপাড়ার আবুল কাশেম (২০), পেকুয়ার রাজাখালী ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের মিয়ারপাড়ার আলমগীর (২২) ও হাজিরপাড়ার রবিউল আলম (১৯)।

বিএ-০৯