জুড়ীতে চাঁদাবাজির অভিযোগে সড়ক অবরোধ

জুড়ী প্রতিনিধি


আগস্ট ১৭, ২০২১
০৮:১৩ অপরাহ্ন


আপডেট : আগস্ট ১৭, ২০২১
০৮:১৩ অপরাহ্ন



জুড়ীতে চাঁদাবাজির অভিযোগে সড়ক অবরোধ

মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার চৌমুহনীতে ১ ঘণ্টা আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করেছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকরা। এতে করে কুলাউড়া ও বড়লেখা সড়কে ১ কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়। মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) সকাল ১০টায় সড়ক অবরোধের ঘটনাটি ঘটেছে।

জানা যায়, ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজির প্রতিবাদে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকেরা সড়ক অবরোধ করে রাখেন প্রায় ১ ঘণ্টা। এরপর কুলাউড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাদেক কাউছার দস্তগীরের হস্তক্ষেপে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাস্তা ছেড়ে দেন তারা।

অটোরিকশাচালক ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে আরও জানা যায়, সকাল ১০টা থেকে জুড়ী নাইট চৌমুহনীতে অটোরিকশা চেকিং শুরু করেন মৌলভীবাজারের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) মোহাম্মদ উল্লাহ। এ সময় তিনি ৮টি অটোরিকশা আটক করে মামলা দেন। এর জেরে জুড়ী ক্যাম্প স্ট্যান্ড ও শিশুপার্ক স্ট্যান্ডের চালকরা এসে জুড়ী-বড়লেখা সড়ক অবরোধ করে রাখেন। খবর পেয়ে কুলাউড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাদেক কাউছার দস্তগীর ও জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় চক্রবর্তী ঘটনাস্থলে আসেন। প্রায় ঘণ্টাখানেক অবরোধ থাকার পর পুলিশের সঙ্গে সমঝোতায় অবরোধ তুলে নেন চালকরা।

জুড়ী ক্যাম্প চত্বর অটোরিকশা স্ট্যান্ডের সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম, অটোরিকশাচালক জাবেদ আহমদ ও মামুন আহমদ জানান, তারা মাসিক হারে চাঁদা দেন ট্রাফিক পুলিশকে। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে মৌলভীবাজার থেকে ট্রাফিক পুলিশের টিআই মোহাম্মদ উল্লাহ ও এসআই কুতুব উদ্দিন স্ট্যান্ডে থাকা গাড়িগুলো চেক করে জব্দ করে থানায় নিয়ে যান। এছাড়া ট্রাফিক পুলিশ অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে গাড়ি ছেড়ে দিয়েছে। ট্রাফিক পুলিশের এ অন্যায় আচরণের জন্য তারা সড়ক অবরোধ করেছিলেন। 

মৌলভীবাজারের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, আমরা সকালে জুড়ীর চৌমোহনাতে কাগজবিহীন গাড়ি আটক করি। এ সময় দেখা যায়, অনেক গাড়ির কাগজ ৭/৮ বছর আগেই মেয়াদ উত্তীর্ণ। এ সময় মেয়াদ উত্তীর্ণ কয়েকটি গাড়ি আমরা জব্দ করি। এতে অটোরিকশাচালকরা ক্ষিপ্ত হয়ে সড়ক অবরোধ করে। পরে কুলাউড়া সার্কেল, জুড়ী থানার ওসি, মৌলভীবাজারের টিআই, জুড়ী উপজেলার অটোরিকশা শ্রমিকরা সমঝোতার জন্য জুড়ী থানায় বৈঠক করেন।

জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, অটোরিকশাচালক ও ট্রাফিক পুলিশের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণে সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি।


এইচআর/আরআর-০৯