সরকার গঠনে কাবুলে পৌঁছেছেন মোল্লাহ বারাদার

সিলেট মিরর ডেস্ক


আগস্ট ২১, ২০২১
০৪:০৮ অপরাহ্ন


আপডেট : আগস্ট ২১, ২০২১
০৪:০৮ অপরাহ্ন



সরকার গঠনে কাবুলে পৌঁছেছেন মোল্লাহ বারাদার

আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তানে নতুন সরকার গঠন করা হবে, তালেবানের পক্ষ থেকে এমন ঘোষণা আসার পর সব পক্ষের সাথে আলোচনা করতে শনিবার রাজধানী কাবুলে পৌঁছেছেন তালেবানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোল্লাহ আব্দুল গনি বারাদার।

কাতারভিত্তিক আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপিকে তালেবানের এক জ্যেষ্ঠ নেতা বলেছেন, ‌‘তিনি (মোল্লাহ বারাদার) সর্বদলীয় একটি সরকার গঠনে নেতা ও রাজনীতিবিদদের সঙ্গে আলোচনা করতে কাবুলে আসছেন।’ 

এক জ্যেষ্ঠ তালেবান নেতা শুক্রবার এপিকে বলেছিলেন, ‘প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ৩১ আগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা যুক্তরাষ্ট্রের। তার আগ পর্যন্ত আমরা (সরকার গঠন বিষয়ক) আনুষ্ঠানিক কোনো পদক্ষেপ নেব না।’

গত ১৫ আগস্ট তালেবানের হাতে কাবুলের পতনের তিন দিনের মধ্যে আফগানিস্তানে কাতারের দোহা থেকে একটি বিশেষ বিমানে করে আরও কয়েকজন জ্যেষ্ঠ তালেবান নেতাকে নিয়ে আফগানিস্তানের কান্দাহার প্রদেশে এসেছিলেন ফিরেছেন মোল্লাহ বারাদার।

তালেবান কাবুলে ঢোকার পর মোল্লাহ আব্দুল গনি বারাদার বলেছিলেন, ‘এখন এই মুহূর্তটি তালেবানের জন্য একটা পরীক্ষা। এই সময়ে আমরা একটি পরীক্ষার মুখোমুখি হচ্ছি। কারণ এখন দেশের জনগণের নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদের কাঁধে।’

মোল্লাহ বারাদারের পরিচয় তিনি তালেবানের রাজনৈতিক প্রধান। বিশেষজ্ঞদের অনুমান সত্যি হলে বারাদারই হবেন পরবর্তী আফগান প্রেসিডেন্ট। আর যদি তাই হয় তাহলে এই প্রথমবারের মতো কোনো শীর্ষ পদে বসবেন এই তালেবান কমান্ডার।

টুইন টাওয়ারে হামলার পর যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে সামরিক অভিযান শুরু করলে ২০০১ সালে তালেবানের অন্য নেতাদের সাথে প্রথমে কাবুল, তারপর দেশে ছেড়ে পাকিস্তানে পালিয়েছিলেন বারাদার। এরপর আট বছর পাকিস্তানের কারাগারে ছিলেন তিনি।

১৯৯৬ সালে যখন তালেবান কাবুল দখল করেছিল, তখন সেই সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন মোল্লাহ বারাদার। ২০০১ সালে মার্কিন হামলার মুখে তালেবান রাষ্ট্রক্ষমতা হারানোর আগ পর্যন্ত তিনি ছিলেন তালেবান সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়েরে উপমন্ত্রী।

দলের প্রধান না হয়েও তালেবানের রাজনৈতিক অবস্থানগত কৌশল কিংবা অভিমুখ বারাদারই ঠিক করেন। দেশে তো বটেই আন্তর্জাতিক মঞ্চেও তার অবস্থানই ছিল তালেবানের শেষ কথা। এ কারণেই তালেবানের প্রধান না হয়েও প্রধান মুখ তিনি। 

২০১৮ সালে ট্রাম্প প্রশাসন তার সঙ্গে কথা বলে তালেবানের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করেছিল। তার আশ্বাসে আফগানিস্তান থেকে সেনা সরায় যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি পাকিস্তানের জেলে বন্দি বারাদারকে মুক্ত করার নির্দেশও দিয়েছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

বি এন-০৫