মা-ছেলেকে তুলে নিয়ে মুক্তিপণ, দুই সিআইডি কর্মকর্তাসহ পাঁচজন কারাগারে

সিলেট মিরর ডেস্ক


আগস্ট ২৫, ২০২১
০৭:৫৭ অপরাহ্ন


আপডেট : আগস্ট ২৫, ২০২১
০৭:৫৭ অপরাহ্ন



মা-ছেলেকে তুলে নিয়ে মুক্তিপণ, দুই সিআইডি কর্মকর্তাসহ পাঁচজন কারাগারে

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে মা ও ছেলেকে বাসা থেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় রংপুর বিভাগীয় সিআইডির এএসপিসহ পাঁচজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার (২৫ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে চিরিরবন্দর আমলি আদালত-৪ প্রথম শ্রেণীর বিচারক শিশির কুমারের আদালতে তোলা হলে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এর আগে অপহরণের পর উদ্ধার হওয়া জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- রংপুর সিআইডির এএসপি সারোয়ার কবীর, এএসআই হাসিনুর রহমান, কনস্টেবল আহসানুল হক ফারুক, মাইক্রোবাস চালক হাবিবুর রহমান ও স্থানীয় পলাশ।

অপহরণের শিকার জহুরা বেগম (৫০) ও তার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩৫) দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার নান্দাইল গ্রামের বাসিন্দা। জহুরা বেগম ওই গ্রামের লুৎফর রহমানের স্ত্রী।

এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে দিনাজপুরের দশমাইল থেকে অপহৃত মা ও ছেলেকে উদ্ধারসহ অপহরণকারীদের আটক করা হয়। পরে বুধবার দুপুরে দিনাজপুর জেলা পুলিশের কার্যালয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেওয়া হয় তাদের।

জানা গেছে, রংপুর সিআইডির কাছে পলাশ নামের এক ব্যক্তি চিরিরবন্দর থানার লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে ৫০ লাখ টাকার প্রতারণার অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে গত সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় লুৎফরের বাড়িতে যান এএসপি সারোয়ার কবিরসহ ৮/১০ জন। প্রথমে বাড়িঘর ভাঙচুর, নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার লুটপাট করেন।

লুৎফর রহমানকে না পেয়ে তার স্ত্রী ও ছেলেকে একটি কালো মাইক্রোবাসে উঠিয়ে সৈয়দপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে মুক্তিপণ দাবি করেন তারা। পরিবারের লোকজনকে ফোন করে ১৫ লাখ টাকা দাবি করেন। পরে এ ঘটনায় থানা পুলিশের কাছে যান ভুক্তভোগীর স্বজনরা।

এক পর্যায়ে গতকাল মঙ্গলবার বিকালে ভুক্তভোগীর স্বজনরা সাড়ে ৮ লাখ টাকা নিয়ে তাদের সঙ্গে দেখা করতে চান। তারা প্রথমে রানীরবন্দর যেতে বলেন। সেখানে গেলে তাদেরকে টাকা নিয়ে দশমাইল যেতে বলা হয়। আবার দশমাইল গেলে বাশেরহাট আসতে বলা হয়।

এক পর্যায়ে অপহরনকারীরা অবস্থা বেগতিক দেখে অপহৃত মা ছেলেকে নিয়ে আবার পালিয়ে যাওয়ার সময় দশমাইলে জনতা ও পুলিশ তাদের ঘেরাও করে। আটকের পর প্রথমে চিরিরবন্দর পরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের।

এ বিষয়ে রংপুর সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতাউর রহমান বলেন, এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসান-উল ফারুক ছুটিতে ছিলেন এবং এএসপি সারোয়ার কবীর ডিউটিতে ছিলেন। তবে এএসপি সারোয়ার কবীর কাউকে না জানিয়েই দিনাজপুরে গেছেন। তদন্ত সাপেক্ষেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিএ-০৫