খাসিয়া-বন বিভাগ বিরোধ নিষ্পত্তিতে সম্প্রীতি সমাবেশ

কুলাউড়া প্রতিনিধি


সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২১
১২:০৪ পূর্বাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২১
১২:০৪ পূর্বাহ্ন



খাসিয়া-বন বিভাগ বিরোধ নিষ্পত্তিতে সম্প্রীতি সমাবেশ

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় সামাজিক বনায়নকে ঘিরে খাসিয়া ও বন বিভাগের উপকারভোগীদের মধ্যে সৃষ্ট বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) কর্মধা ইউনিয়নের নৃতাত্তিক সেন্টারে এক সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কুলাউড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা এ টি এম ফরহাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য দেন কুলাউড়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সাদেক কাওছার দস্তগীর। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া, কুলাউড়া উপজেলার চেয়ারম্যান এ কে এম সফি আহমদ সলমান, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনু, কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভূষণ রায়, কর্মধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম এ রহমান আতিক, পৃথিমপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নবাব আলী বাখর খান, বন বিভাগের পক্ষে রেঞ্জ অফিসার রিয়াজ উদ্দিন, খাসিয়াদের পক্ষে ফ্লোরা বাবলী তালাং ও উপকারভোগীদের পক্ষে হারিছ আলী।

এ সময় বন বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়, কুলাউড়া উপজেলার সংরক্ষিত বনাঞ্চলে আগে বাঁশ ছিল। সেই বাঁশের পরিবর্তে এখন আছে পান। এখন আর বাঁশ নেই, মহালও নেই। ৪টি বাঁশমহাল বিলুপ্ত হয়ে গেছে। সামাজিক বনায়নেও আসছে বাধা। তবে সরকার ‘সিলেট বন বিভাগে পুণঃবনায়ন ও অবকাঠামো উন্নয়ন’ নামে প্রকল্প গ্রহণ করেছে। যার কার্যক্রম শুরু হবে।

অতিথিবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বলেন, বনে বাস করতে পারেন, কিন্তু ভূমির মালিকানা কাউকে দেওয়া হয়নি। বনের সঙ্গে যাদের আধ্যাত্মিক সম্পর্ক রয়েছে, তারা কখনও বন ধ্বংস করতে পারে না। আর্থিক সম্পর্ক যখন জোরদার হয়, তখন বিরোধ সৃষ্টি হয়। আগে এখানে বাঁশমহাল ছিল, সরকার রাজস্ব পেত। শুনেছি এখন পানপুঞ্জিতে ব্যাপক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চলে। কিন্তু সরকার কী পায়? বনের মালিক রাষ্ট্র এবং বন বিভাগ। বনভূমিতে থাকা মানে কাউকে ভূমির মালিকানা দেওয়া হয়নি। এখানে কেউ ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলে সফল হবে না। যারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে চলবেন, রাষ্ট্র আপনাদের পাশে থাকবে। তবে অবশ্যই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে।


জেএইচ/আরআর-০৮