সিলেট মিরর ডেস্ক
সেপ্টেম্বর ১১, ২০২১
১২:১৬ পূর্বাহ্ন
আপডেট : সেপ্টেম্বর ১১, ২০২১
১২:১৭ পূর্বাহ্ন
মায়ের পেনশনের অর্থে চলা বেকার এক ছেলে মায়ের মৃত্যুর পর মরদেহ মমি করে বাড়ির নিচে লুকিয়ে রাখেন। এক বছরের বেশি সময় ধরে পেনশনের ৫০ হাজারের বেশি ইউরো তোলেন তিনি। এমন অভিযোগে অবশেষে অস্ট্রিয়ার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন ওই ব্যক্তি। শুক্রবার এক অনলাইন প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
পুলিশের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে অস্ট্রিয়ার পশ্চিম টাইরোল অঞ্চলে। প্রতারণার অভিযোগে সম্প্রতি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার ওই ব্যক্তির বয়স ৬৬ বছর। পুলিশের ধারণা, ডিমেনশিয়া রোগী তার ৮৯ বছর বয়সী মায়ের স্বাভাবিক মৃত্যু হয় গত জুনে। এরপর থেকে বাড়ির নিচে মায়ের মরদেহ লুকিয়ে রেখেছিলেন তিনি।নিজের আয়-রোজগার নেই। মায়ের পেনশনে চললেও হঠাৎ তিনিও মারা যান। তারও বয়স হয়েছে অনেক। উপায়ন্তর না দেখে মায়ের মৃত্যুর তথ্য গোপন করেন। মায়ের মরদেহ বাড়ির নিচের অংশের একটি ভাঁড়ারে লুকিয়ে রাখেন। গন্ধ যাতে চারপাশে ছড়িয়ে না পড়ে এজন্য বরফ ও ব্যান্ডেজ দিয়ে মরদেহ মুড়িয়ে রাখেন।
বিপত্তি বাধে এলাকায় নতুন ডাকপিয়ন আসার পর। মৃত ওই নারীর পেনশনের অর্থ দিতে একদিন ওই বাড়িতে যাওয়ার পর বৃদ্ধার সাথে দেখা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি। কিন্তু বৃদ্ধার সাথে ডাকপিয়নের দেখা করিয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানান ছেলে। ডাকপিয়ন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে তদন্তে প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়ে।
অস্ট্রিয়ার রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম ওআরএফকে পুলিশ কর্মকর্তা হেলমাথ গাফলার জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি সব স্বীকার করে নিয়ে বলেছেন, তার আয়ের কোনো উৎস ছিল না। মায়ের পেনশনের অর্থেই দিন চলছিল তার। মায়ের মৃত্যুর বিষয়টি জানালে আয়ের উৎস বন্ধ হয়ে যেত। এমনকি মায়ের শেষকৃত্যও করতে পারতেন না।
বিএ-০৬