রাজনগরের ১৭৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উৎসবের আমেজ

রাজনগর প্রতিনিধি


সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১
০৮:৫৬ অপরাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১
০৮:৫৬ অপরাহ্ন



রাজনগরের ১৭৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উৎসবের আমেজ

করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় দেড় বছর বন্ধ ছিল দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) নিয়মনীতির শর্তসাপেক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়েছে সরকার। দেশের অন্য সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও খুলে দেওয়া হয়েছে। এদিন প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছিল স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার আঙিনা। উৎসবের আমেজ নিয়ে উপজেলার ১৭৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুল, কলেজে ও মাদরাসায় প্রবেশ করেছে। প্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শনে তৎপর ছিল উপজেলা প্রশাসন।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঘুরে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা আনন্দের সঙ্গে নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছে। তাদের চোখে-মুখে দীর্ঘদিন পর সহপাঠীদের সঙ্গে দেখা হওয়ার আনন্দ।

স্থানীয় টেংরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান টিপু খান বলেন, উপজেলার অন্যতম বিদ্যালয় শহীদ সুদর্শন সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিতরণ করেছি। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মিষ্টি মুখ করিয়েছি। প্রায় দেড় বছর পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি দেখে ভালোই লাগছে।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান খান বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও অভিভাবকদের অবশ্যই তাদের সন্তানদের মাস্ক, হ্যান্ড ওয়াশ ও দূরত্বের ব্যাপারে অবগত করতে হবে এবং শিক্ষকদের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের হাত ধোয়া, বাইরের খাবার না খাওয়া, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, বিদ্যালয়ের পরিবেশ বজায় রাখার বিষয়ে ও অসুস্থ অবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে না আসার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াংকা পাল বলেন, উপজেলা প্রশাসন থেকে শুক্রবারসহ গত কয়েকদিন যাবত আমরা সরকারি নির্দেশনা বহাল রাখতে নিয়মিত তদারকি করেছি। আজ প্রথম দিন হিসেবে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে কোনোরকম গাফিলতি আপাতত পাইনি। তবে শিক্ষার্থীদের স্কুল ড্রেসের বিষয়ে অবগত করেছি।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সোমা ভট্টাচার্য বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আঙিনা জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে। লতাপাতা, ঝোপঝাড়, দীর্ঘদিনের আবর্জনা পরিষ্কার করে পাঠদানের উপযোগী করা হয়েছে। আগামীতে ইউনিফর্মের বিষয়ে নজরদারি বাড়ানো হবে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, স্কুল, কলেজ ও মাদরাসাগুলোতে ৭-১০ দিন আগে থেকে পরিবেশ ভালো। নির্দেশনা অনুযায়ী হয়েছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ। মশা ও ভাইরাস প্রতিরোধক স্প্রে করা হয়েছে। আছে হ্যান্ড সেনিটাইজার, থার্মোমিটার এবং আইসোলেশন কক্ষের ব্যবস্থা।


এফএইচ/আরআর-০৯