জাপার নতুন মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু

সিলেট মিরর ডেস্ক


অক্টোবর ০৯, ২০২১
০৬:৫৪ অপরাহ্ন


আপডেট : অক্টোবর ০৯, ২০২১
০৬:৫৪ অপরাহ্ন



জাপার নতুন মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু

পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাতীয় মুজিবুল হক চুন্নুকে জাতীয় পার্টির নতুন মহাসচিব করা হয়েছে। দলের সদ্য প্রয়াত মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর জায়গায় এ পদে নিয়োগ দেওয়া হলো তাকে।

আজ শনিবার (৯ অক্টোবর) মুজিবুল হক চুন্নুকে মহাসচিব ঘোষণা করেন পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২ অক্টোবর রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের হাতে গড়া এই দলটিতে গত দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন ডাকসুর সাবেক জিএস জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু।

মুজিবুল হক চুন্নু সম্পর্কে

মুজিবুল হক চুন্নু ১৯৫৪ সালের ১ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল উপজেলার কাজলা মধ্যপাড়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম প্রয়াত মুন্সী আব্দুল মালেক এবং মাতা প্রয়াত হারুননেসা।

১৯৬০ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষাজীবন শুরু করেন মুজিবুল হক চুন্নু।  ১৯৭০ সালে তিনি কৃতিত্বের সাথে এসএসসি পাস করেন। ১৯৭২ সালে এইচএসসি পাসের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে ১৯৭৯-৮০ সালে অনার্স ও ১৯৮০-৮১ সালে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন।

ছাত্র জীবনেই তিনি ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েন। ১৯৮০-৮১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মোহাম্মদ মহসিন হলের ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। ১৯৮৮-৯০ সাল পর্যন্ত তিনি রেড ক্রিসেন্ট কিশোরগঞ্জ জেলা ইউনিটের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।

মুজিবুল হক চুন্নু ছাত্রাবস্থায় মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেন। মুক্তিযুদ্ধে ১১ নম্বর সেক্টরে তিনি সক্রিয়ভাবে যুদ্ধ করেন। ১৯৭৮-৮০ সাল পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিট কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮০-৮৬ সাল পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

সহকারী জজ (বিসিএস জুডিশিয়াল) হিসেবে চাকরিজীবন শুরু করেন মুজিবুল হক চুন্নু। সমাজের সাধারণ মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করার জন্য তিনি ১৯৮৬ সালে চাকরি ছেড়ে রাজনীতি শুরু করেন এবং পরবর্তী সময়ে আইন পেশায় যোগ দেন। ১৯৮৬ সালে তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার জাতীয় পার্টির সভাপতি নির্বাচিত হন। একই বছর তিনি সংসদ সদস্য পদে নির্বাচিত হন। ১৯৮৮ সালে পুনরায় জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৮ ও ২০১৩ সালেও তিনি সংস সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও তিনি জয় পান।

আরসি-১০