সিলেট মিরর ডেস্ক
অক্টোবর ১২, ২০২১
০৬:৪৫ পূর্বাহ্ন
আপডেট : অক্টোবর ১২, ২০২১
০৬:৪৫ পূর্বাহ্ন
ই-কমার্স ব্যবসার নামে গ্রাহকদের পণ্য না দিয়ে টাকা লোপাট করা এমন অন্তত ৬০টি প্রতিষ্ঠানের নামে নালিশ জমা পড়েছে অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি)। এর মধ্যে অন্তত ৩০টি প্রতিষ্ঠানের ওপর নজর রাখা হচ্ছে। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করার আগে চলছে অনুসন্ধান।
সোমবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে সিআইডি সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক ইমাম হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে একই ব্যক্তির মালিকাধীন ‘থলেডটকম’ ও ‘উইকমডটকম’ নামের দুটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের ছয় কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানানো হয়। সাশ্রয়ী দামে টিভি, ফ্রিজ, মোটরসাইকেল ও ইলেকট্রনিক পণ্য বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠান দুটি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দুই প্রতিষ্ঠান টিভি, ফ্রিজ, মোটরসাইকেল, ইলেকট্রিক পণ্য কম দামে বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন ফেসবুক পেজ ও অনলাইনে অফার দেয়। এতে আকৃষ্ট হয়ে ৩০ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহ করার শর্তে টাকা দেন ভুক্তভোগীরা। কিন্তু টাকা দেওয়ার পর নির্ধারিত সময়ে পণ্য দেয়নি ‘থলেডটকম’ ও ‘উইকমডটকম’। ৫০ দিন পার হলেও পণ্য সরবরাহ না করে অপেক্ষা করতে বলে প্রতিষ্ঠান দুটি।
অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সঙ্গে সিআইডিও ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান নিয়ে কাজ শুরু করে। তাতে দেখা যায়, কিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে ভুক্তভোগীরা টাকা দিলেও দিনের পর দিন পণ্য ডেলিভারি না পেয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি কিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মালিকসহ কর্মকর্তাদেরও গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে ও সিআইডির অনুসন্ধানে ৬০টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের সংক্ষিপ্ত তালিকা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩০ থেকে ৩২টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান সিআইডির নজরদারিতে রয়েছে। বাংলাদেশে কিছু ভালো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। বাংলাদেশের অনেক নারী, যাঁরা ঘরে থাকেন তারাও ফেসবুকভিত্তিক ই-কমার্স ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান দুটির হেড অব অপারেশন নজরুল ইসলামের সঙ্গে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সোহেল হোসেন, ডিজিটাল কমিউনিকেশন অফিসার তারেক মাহমুদ অনিক, সেলস এক্সিকিউটিভ অফিসার সাজ্জাদ হোসেন ওরফে পিয়াস, কল সেন্টার এক্সিকিউটিভ অফিসার মুন্না পারভেজ ও সুপারভাইজার মাসুম হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরসি-০৫