করোনায় ৫০ শতাংশ কার্যকর ভারতের কোভ্যাক্সিন

সিলেট মিরর ডেস্ক


নভেম্বর ২৪, ২০২১
০৫:৩৯ অপরাহ্ন


আপডেট : নভেম্বর ২৪, ২০২১
০৫:৪১ অপরাহ্ন



করোনায় ৫০ শতাংশ কার্যকর ভারতের কোভ্যাক্সিন

করোনার মোকাবিলায় ভারতীয় করোনা টিকা কোভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা ৭৭ দশমিক ৮ শতাংশ নয়, মাত্র ৫০ শতাংশ। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এই তথ্য জানা গেছে।

ভারতের চিকিৎসাবিজ্ঞান বিষয়ক সর্বোচ্চ গবেষণা প্রতিষ্ঠান অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সের (এআইএইমস) সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এ তথ্য জানা গেছে। আন্তর্জাতিক চিকিৎসাবিজ্ঞান সাময়িকী ল্যানসেটে প্রকাশিতও হয়েছে সেই গবেষণার প্রতিবেদন।

বুধবার বার্তাসংস্থা রয়টার্স ও ভারতের জাতীয় দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়া তাদের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে যখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছিল- সে সময় দেশটির বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মরত ২ হাজার ৭১৪ স্বাস্থ্যকর্মীর তথ্য গবেষণার জন্য সংগ্রহ করেছিলেন এআইআইএমএসের বিজ্ঞানীরা। তাদের তথ্য বিশ্লেষণ করেই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছান তারা।

চলতি বছর মার্চ থেকে ভারতে শুরু হয়েছিল করোনার দ্বিতীয় ঢেউ, অব্যাহত ছিল জুন পর্যন্ত। এই সময়সীমার মধ্যে দেশটিতে করোনার দৈনিক সংক্রমণ ছুঁয়েছিল ৪ লাখের কোঠা, দৈনিক মৃত্যু পৌঁছেছিল ৪ হাজারে।

যে স্বাস্থ্যকর্মীদের তথ্য গবেষকরা সংগ্রহ করেছেন, তাদের সবাই দেহে করোনার উপসর্গ বোধ করায় ১৫ এপ্রিল থেকে ১৫ মে’র মধ্যে আরটি-পিসিআর টেস্ট করিয়েছিলেন; এবং সবাইকে দেওয়া হয়েছিল কোভ্যাক্সিনের দুই ডোজ টিকা।

আরটি-পিসিআর টেস্টের পর এই ২ হাজার ৭১৪ স্বাস্থ্যকর্মীর মধ্যে ১ হাজার ৬১৭ জনই করোনা ‘পজিটিভ’ হিসেবে শনাক্ত হয়েছিলেন, ‘নেগেটিভ’ শনাক্ত হয়েছিলেন  ১ হাজার ৯৭ জন।

গবেষণা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, টিকার ডোজ সম্পূর্ণ করার পর ৭ সপ্তাহ পর্যন্ত করোনা প্রতিরোধে এই পরিমাণ কার্যকারিতা থাকে কোভ্যাক্সিনের।

গবেষক দলের অন্যতম সদস্য ও এআইআইএমএসের সহযোগী অধ্যাপক মনীষ সোনেজা টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলার সময় ভারতে মাঠ পর্যায়ে কোভ্যাক্সিন যে ভূমিকা রেখেছে, সে সম্পর্কিত একটি পূর্ণাঙ্গ চিত্র আমরা উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি।’

তবে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর গুরুতর অসুস্থতা ও মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে কোভ্যাক্সিন কতখানি কার্যকর, সে বিষয়ক কোনো তথ্যের উল্লেখ এআইএমএমএসের গবেষণা প্রতিবেদনে পাওয়া যায়নি।

বি এন-১১