সিলেট মিরর ডেস্ক
নভেম্বর ২৫, ২০২১
০৩:৫১ পূর্বাহ্ন
আপডেট : নভেম্বর ২৫, ২০২১
০৩:৫১ পূর্বাহ্ন
হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণার করা ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বুধবার (২৪ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মো. শাহিন উদ্দিনের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
জবানবন্দিতে ঝর্ণা বিয়ের আশ্বাসে কখন কোথায় নিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে এর বর্ণনা দেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি রাকিবুদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আদালতে জন্নাত আরা ঝর্ণা মামুনুল হক কখন কোথায় নিয়ে ধর্ষণ করেছেন এর বর্ণনা তুলে ধরেন। একইভাবে গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়্যাল রিসোর্টেও নিয়ে তাকে (ঝর্ণা) নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে স্থানীয় লোকজন হোটেল কক্ষে তাদের দুজনকে আটক করে। এর আগে, ঝর্ণার দায়ের করা এ মামলায় ৩ নভেম্বর আদালতে অভিযোগ গঠন (চার্জ) করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রাকিবুজ্জামান রকিব জানান, কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা সোনারগাঁও থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেন। সেই মামলায় কাশিমপুর কারাগার থেকে মামুনুল হককে পুলিশ প্রহরায় নারায়ণগঞ্জ আদালতে নিয়ে আসা হয়। মামলার বাদীও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, শহীদুল ইসলামের সঙ্গে ঝর্ণার দাম্পত্য জীবন সুখে শান্তিতে অতিবাহিত হচ্ছিল। তাদের ১৭ ও ১৩ বছরের দুই সন্তান আছে। স্বামীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে ২০০৫ সালে মামুনুল হকের সঙ্গে ঝর্ণার পরিচয় হয়। তাদের বাসায় অবাধ যাতায়াত থাকার সুবাধে ছোটখাটো সাংসারিক মতানৈক্যের মধ্যে মামুনুল সুকৌশলে প্রবেশ করে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব তৈরি করতে থাকেন।
সাংসারিক টানাপড়েনের একপর্যায়ে মামুনুলের ‘পরামর্শে’ ২০১৮ সালের ১০ আগস্ট শহীদুলের সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয়।
জান্নাত এজাহারে অভিযোগ করেন, বিচ্ছেদের পর অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে মামুনুল তাকে ঢাকায় আসার জন্য ‘প্ররোচিত’ করেন। ঢাকায় আসার পর তার পরিচিত বিভিন্ন অনুসারীর বাসায় রেখে মামুনুল নানাভাবে তাকে ‘কুপ্রস্তাব’ দেন। এর ধারাবাহিকতায় মামুনুলের পরামর্শে কলাবাগানে এক বাসায় সাবলেট থাকতে শুরু করেন এবং বিয়ের আশ্বাস দেখিয়ে এবং অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে মামুনুল হক তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কও করেছেন। কিন্তু বিয়ের কথা বললে মামুনুল করছি, করবো বলে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন।
বাদী আরও অভিযোগ করেন, ঘোরাঘুরির কথা বলে ২০১৮ সাল থেকে মামুনুল বিভিন্ন হোটেল, রিসোর্টে তাকে নিয়ে যেতেন। সর্বশেষ গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে রয়্যাল রিসোর্টে ঘুরতে নিয়ে গিয়েও মামুনুল হক তাকে ‘ধর্ষণ’ করেন।
আরসি-২০