‘নারীর প্রতি নেতিবাচক ভাবনা বদলাতে হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক


নভেম্বর ২৮, ২০২১
০৬:৪৪ পূর্বাহ্ন


আপডেট : নভেম্বর ২৮, ২০২১
০৬:৪৪ পূর্বাহ্ন



‘নারীর প্রতি নেতিবাচক ভাবনা বদলাতে হবে’
নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ বিষয়ক সেমিনার

সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ শামিমা আক্তার চৌধুরী বলেছেন, ‘নারীদের এখনও দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ ভাবনা অত্যন্ত নেতিবাচক। সমাজের উন্নয়ন ও পরিবর্তন চাইলে নারীর প্রতি এমন ভাবনা সবার আগে বদলাতে হবে।’

শনিবার (২৭ নভেম্বর) সকালে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজ আয়োজিত ‘নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ’ বিষয়ক সেমিনারে বক্তারা এ সব কথা বলেন।

সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জেলা জজ কোর্টের আইনজীবী দেবব্রত চৌধুরী লিটন ও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট সুমনা ইসলাম।

এতে বক্তব্য দেন, সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ মোছা. রুকসানা বেগম, মহিলা কলেজের অধ্যাপক মুসাব্বির চৌধুরী, অধ্যাপক নাজমিন ইসলাম চৌধুরী, সহযোগী অধ্যাপক বিমান বিহারী রায়, নারী উদ্যোক্তা নুজহাত ইসলাম প্রমুখ।

সেমিনারে অ্যাডভোকেট দেবব্রত লিটন বলেন, ‘দেশে নারী ও শিশু নির্যাতনের সংখ্যা দিন দিন বাড়লেও ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা বাড়ছে না। তাই, মামলায় দীর্ঘসূত্রিতা তৈরি হচ্ছে। এতে ভুক্তভোগীরা অনেক সময় বিচার ব্যবস্থার প্রতি আগ্রহ হারান। তাই, বিচারিক কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করা উচিৎ।’

আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে চলা ১৫ দিনব্যাপী প্রতিরোধ পক্ষ দেশব্যাপী উদযাপনের অংশ হিসেবে ‘প্রজেক্ট উই’ এর আয়োজনে ‘নির্ভয়া’ নামক এ সেমিনারে নারীর প্রতি সহিংসতা বাড়ার কয়েকটি কারণ ও সমাধানে পরামর্শমূলক লিখিত বক্তব্য দেন আইনজীবী লিটন।

তিনি বলেন, ‘পার্শ্ববর্তী জেলা হবিগঞ্জের দিকে তাকালে দেখা যায় সেখানে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল তিনটি। এ কারণে সেখানে বিচার প্রক্রিয়া অনেক দ্রুত সম্পন্ন হয়। অথচ, সিলেটে একটি তারিখের জন্য বিচার প্রার্থীকে কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হয়। এতে বিচার প্রক্রিয়ার প্রতি ভুক্তভোগীরা আগ্রহ হারান।’

এ সময় তিনি নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে সামাজিক মূল্যবোধের পরিবর্তন, বিচারিক প্রক্রিয়ায় গতি বৃদ্ধি, নৈতিক শিক্ষার প্রতি তাগিদ দেন।

সেমিনারে যৌতুক নিরোধ আইন, পারিবারিক সহিংসতা আইন, শিশু আইন ও যৌতুক নিরোধ আইনের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন বক্তারা। এ সময় প্রতিটি অসামঞ্জস্যতার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের ‘না’ বলা শিখতে এবং প্রতিরোধ করার পরামর্শ দেন তারা।

আরসি-০২