নিজস্ব প্রতিবেদক
ডিসেম্বর ০৮, ২০২১
১২:৩৭ পূর্বাহ্ন
আপডেট : ডিসেম্বর ০৮, ২০২১
১২:৩৮ পূর্বাহ্ন
আদালতে তিন সাক্ষী হাজির হলেও এক আসামি না আসায় টানা চতুর্থবারের মতো পেছাল সিলেটের বিজ্ঞানবিষয়ক লেখক ও ব্লগার অনন্ত বিজয় হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ।
আজ মঙ্গলবার (৭ ) সাক্ষ্য গ্রহণের দিন নির্ধারিত ছিল। আগামী ১৯ জানুয়ারি পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেছেন সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরুল আমিন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, এ মামলার সবশেষ সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছিল গত ১২ অক্টোবর। ওইদিন সাক্ষ্য দেন অনন্ত বিজয়ের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান শামসুল ইসলাম ও পুলিশ কনস্টেবল রাসেল আহমদ। তারা মামলার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী ছিলেন। পরে আদালত গত ২৬ অক্টোবর, ৮ নভেম্বর এবং ২২ নভেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন নির্দিষ্ট করেন। তবে ওই তিনদিন দিন সাক্ষীরা না আসায় গতকাল মঙ্গলবার সাক্ষ্যগ্রহণের নতুন তারিখ নির্দিষ্ট করেন আদালত। তবে গতকাল মামলার ৩ জন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী এলেও এক আসামির অনুপস্থতির কারণে সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে দেন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল জজ মো. নুরুল আমিন। এদিন মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম ও আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুল আহাদ উপস্থিত ছিলেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী প্যানেলের সদস্য মোহাম্মদ মনির উদ্দিন এ সব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আরমান আলী, সিআইডির আইটি ফরেনসিক বিভাগের উপপরিদর্শক মাসুদ সিদ্দিকী ও উপপরিদর্শক সুহেল রানা উপস্থিত ছিলেন। হাজতে থাকা দুই আসামির মধ্যে আবুল খায়ের রশিদ আহমেদকে আদালতে হাজির করা হয়। অপর আসামি শফিউর রহমান ওরফে ফারাবিকে ঢাকা কারাগার থেকে সিলেট আদালতে আনা হয়নি। এ কারণে গুরুত্বপূর্ণ তিন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ সম্ভব হয়নি।
এদিকে মামলার এ পর্যায়ে এসে টানা চতুর্থ বারের মতো সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনন্ত বিজয় দাশের স্বজনরা। অনন্ত বিজয়ের ভগ্নিপতি অ্যাডভোকেট সমর বিজয় সী শেখর সিলেট মিররকে বলেন, ‘আগেও বার বার এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়েছে। এর আগে গত তিনবার পিছিয়েছে সাক্ষীরা না আসায়। আজ পেছালো আসামি না আসায়। সব মিলিয়ে আমরা হতাশ।’
প্রসঙ্গত, গত ২০১৫ সালের ১২ মে সিলেট নগরের সুবিদবাজারের কলাপাড়া এলাকার নিজ বাসার সামনে খুন হন অনন্ত বিজয় দাশ। বিজ্ঞান নিয়ে লেখালেখির পাশাপাশি তিনি ‘যুক্তি’ নামে বিজ্ঞানবিষয়ক একটি পত্রিকা সম্পাদনা করতেন। এছাড়া বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন অনন্ত।
এনএইচ/আরসি-০৮