ডা. সাবরিনাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ অব্যাহত

সিলেট মিরর ডেস্ক


ডিসেম্বর ২৭, ২০২১
১০:১২ অপরাহ্ন


আপডেট : ডিসেম্বর ২৭, ২০২১
১০:১৩ অপরাহ্ন



ডা. সাবরিনাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ অব্যাহত

ডা. সাবরিনা চৌধুরী

করোনার নমুনা পরীক্ষায় প্রতারণার মামলায় জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে সিআইডি ইন্সপেক্টর রবিউল ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণ অব্যাহত রয়েছে।

আজ সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) আসামি ডা. সাবরিনা ও তার স্বামী আরিফ চৌধুরীর পক্ষে আইনজীবী ফারুক আহমেদ এ সাক্ষীকে জেরা করেন।

ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জেল হোসেন জেরা গ্রহণ করেন। অপর আসামিদের পক্ষে এই সাক্ষীকে জেরার জন্য আগামী ২৫ জানুয়ারি দিন ঠিক করেন বিচারক।

রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর আজাদ রহমান জানান, মামলাটিতে সিআইডি ইন্সপেক্টর রবিউল ইসলাম ২০ নম্বর সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিচ্ছেন। গত ২০ ডিসেম্বর তিনি আদালতে জবানবন্দি দেন। এরপর সোমবার জেরা শুরু হয়েছে।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিরু, তানজিলা আক্তার পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস ওরফে বিপুল দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা রুমা। আসামিরা সবাই কারাগারে রয়েছেন।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত ২২ জুন জেকেজির সাবেক গ্রাফিক্স ডিজাইনার হুমায়ুন কবীর হিরু ও তার স্ত্রী তানজীলা আক্তার পাটোয়ারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। হিরু স্বীকারোক্তিতে জানায়, তনি ভুয়া করোনা সার্টিফিকেটের ডিজাইন তৈরি করতেন। এই কাজের সঙ্গে জেকেজি গ্রুপের লোকজন জড়িত।

ওই তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ জেকেজির সিইও আরিফুলসহ চারজনকে আটক করেন। সিইও জানায়, প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরীর জ্ঞাতসারেই সবকিছু হয়েছে। এরপর গত ১২ জুলাই সাবরিনা চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। ওই রিমান্ডের পর ১৭ জুলাই তার ফের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ওই মামলায় গত ২৩ জুন আরিফ চৌধুরী গ্রেপ্তার দেখানোর পর রিমান্ডে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে ১৫ জুলাই তার ফের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে সকল আসামি কারাগারে রয়েছেন।

ডা. সাবরিনা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক। সাবরিনা আরিফের চতুর্থ স্ত্রী। তার প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রী রাশিয়া ও লন্ডনে থাকেন। তৃতীয় স্ত্রীর সঙ্গে তালাক হয়েছে। চতুর্থ স্ত্রী ডা. সাবরিনার কারণেই করোনার নমুনা সংগ্রহের কাজ পায় জেকেজি হেলথকেয়ার। প্রথমে তিতুমীর কলেজ মাঠে স্যাম্পল কালেকশন বুথ স্থাপনের অনুমতি মিললেও প্রভাব খাটিয়ে ঢাকা, নায়ায়ণগঞ্জ, নরসিংদী ও গাজীপুরসহ বিভিন্ন স্থানে ৪৪টি বুথ স্থাপন করেন।

নমুনা সংগ্রহের জন্য মাঠকর্মী নিয়োগ দেন তারা। তাদের হটলাইন নম্বরে রোগীরা ফোন দিলে মাঠকর্মীরা বাড়ি গিয়ে এবং বুথ থেকেও নমুনা সংগ্রহ করতেন। এভাবে নমুনা সংগ্রহ করে তারা ২৭ হাজার রোগীকে করোনার টেস্টের রিপোর্ট দেন। এর মধ্যে ১১ হাজার ৫৪০ জনের করোনার নমুনা আইইডিসিআরের মাধ্যমে সঠিক পরীক্ষা করা হয়। বাকি ১৫ হাজার ৪৬০ জনের রিপোর্ট প্রতিষ্ঠানটি জাল-জালিয়াতির মধ্যেমে তৈরি করে। প্রত্যেককে সার্টিফিকেট দেওয়ার বিনিময়ে তারা পাঁচ হাজার টাকা করে নেন।


এএফ/০৩