ধর্মপাশা প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ২৮, ২০২১
১২:১২ অপরাহ্ন
আপডেট : ডিসেম্বর ২৮, ২০২১
১২:১৩ অপরাহ্ন
মা-বাবার সঙ্গে অভিমান করে সুনামগঞ্জের নবগঠিত মধ্যনগর উপজেলার চামরদানী ইউনিয়নের চামরদানী গ্রামে নিজেদের বসতঘরের বারান্দার আঁড়ের সঙ্গে গলায় রশি পেঁছিয়ে জবা আক্তার (১২) নামের এক স্কুল ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। ওইদিন রাত সাড়ে আটটার দিকে ওই ছাত্রীটির লাশ উদ্ধার করেছে মধ্যনগর থানা পুলিশ। সে উপজেলার চামরদানী উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। ওই ছাত্রীটির বাবা খায়রুল ইসলাম পেশায় একজন ভাড়াটে মোটরসাইকেল চালক।
মধ্যনগর থানা পুলিশ ও ছাত্রীটির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চামরদানী ইউনিয়নের চামরদানী গ্রামে গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ওই শিশুটি তাদের নিজেদের বসতঘরের বারান্দার আঁড়ের সঙ্গে গলায় রশি পেঁছানো ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান তার মা রোকেয়া আক্তার (৩৫)। পরে তাকে তাৎক্ষনিকভাবে নামিয়ে মাথায় পানি ঢেলে বাঁচানোর চেষ্ঠা করে পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। খবর পেয়ে মধ্যনগর থানা পুলিশ ওইদিন রাত সাড়ে আটটার দিকে ওই বসতঘর থেকে ছাত্রীটির লাশ উদ্ধার করে।
মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নির্মল দেব বলেন, ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই শিশুটি একঘেয়েমি স্বভাবের ছিল। এ জন্য তাঁর বাবা মা প্রায়ই তাকে বকাঝকা করতেন। আর এ কারণেই অভিমান করে সে আত্মহত্যা করেছে বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। এই মৃত্যু নিয়ে কারও কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই ওই ছাত্রীটির লাশ তার পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
এসএ/আরসি-১৩