শামীম ওসমান জানালেন, ১৬ জানুয়ারি খেলা হবে

সিলেট মিরর ডেস্ক


জানুয়ারি ১১, ২০২২
০২:৫২ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জানুয়ারি ১১, ২০২২
০২:৫২ পূর্বাহ্ন



শামীম ওসমান জানালেন, ১৬ জানুয়ারি খেলা হবে

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, মৃত্যুর ১৫ থেকে ৩০ মিনিট আগে বাবা আমাদের তিন ভাইকে একজনের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। তিনি হচ্ছেন জাতির পিতার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি (বাবা) বলেছেন, আমার ছেলেরা যদি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার চাইতে গিয়ে মারা যায়, আমি যেখানেই থাকি, আমি শান্তিতে থাকব। আমরা সেই পিতার সন্তান, যে বঙ্গবন্ধু পরিবারের জন্য জীবন দেওয়ার জন্য আমার নেত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দিয়েছেন। সেখানে আমার অবস্থান নৌকার বাহিরে থাকতে পারে না।

সোমবার (১০ জানুয়ারি) নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনকে ঘিরে শহরের বাঁধন কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। 

শামীম ওসমান বলেন, এখানে আমার প্রেস কনফারেন্স করার কথা না। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে মাত্র ৫ লাখ ১৯ হাজার ভোটার। সেখানে সিটির মাত্র ১০টি ওয়ার্ড আমার নির্বাচনী এলাকায়। পাশেই ফতুল্লার তিনটি ইউনিয়নে আরও ৬ লাখের বেশি ভোটার আছে, আরও দুটি ইউনিয়ন নিয়ে ভোটার সংখ্যা ৭ লাখের কাছাকাছি। সেখানেও কিছু দিন আগেই নির্বাচন হলো ইভিএমে। সেই নির্বাচনে আমি গেলামও না, কথাও বললাম না, নির্বাচন হয়ে গেল, টেরও পেলাম না। কিন্তু সিটি নির্বাচনটা আসলেই কেন জানি একটা সমস্যা হয়ে যাচ্ছে। গরিবের বউ যেমন সবার ভাবি হয়, তেমনই আমার অবস্থা হয়েছে এই। কেউ বলে, আমি উনার, উনিও বলে আমি উনার আবার দুজন দুজনকে দিয়ে দিতে চায়। কী এক অবস্থায় আমি আছি। আমি জানি না।

তিনি বলেন, আমি একটি কারণে মানসিকভাবে সক্টড, সেটা আপনারা জানেন। যদি আমি সেই জিনিসটা চেপে যাই, তাহলে অসত্য বলা হবে। তার ওপর আমি একজন সংসদ সদস্য, আইন প্রণেতা। নির্বাচনে নামলে আইন লংঘন হবে। তাই নিয়ম অনুযায়ী, আমি নির্বাচনে আসারও কথা না। কিন্তু আমার না আসা নিয়ে একটি পক্ষ একের পর এক ইস্যু তৈরি করেছেন। আমার দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে, সে জন্য আমি ভাবলাম, আমার কথা বলা উচিৎ। তাই এই প্রেস কনফারেন্স।

শামীম ওসমান আরও বলেন, আমার জীবনের সবচেয়ে বড় কষ্টের প্রেস কনফারেন্স এটা। আমার জীবনের সবচেয়ে কষ্টদায়ক দিন হয়তো বা এটা। তারপরেও এখানে আসছি, আমার বড় ভাই সেলিম ওসমান আমাকে আপার হাতে আমাদের তিন ভাইকে তুলে দেওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে বলেছেন, এই নৌকা কার? আমি বললাম আপার। এই নৌকা কার? আমি বললাম ‘বঙ্গবন্ধুর’। তিনি বললেন, বাকিটা আপার ওপর ছেড়ে দাও। উনি আমাদের অভিভাবক।

তিনি বলেন, নৌকার প্রার্থী কে সেটা আমার দেখার বিষয় নয়, আমরা দেখবো নৌকাকে। আমরা নৌকার পক্ষে আজ থেকে নামলাম। ১৬ তারিখ খেলা হবে এবং জয়ী আমরাই হব।

আরসি-০৭