সিলেট মিরর ডেস্ক
জানুয়ারি ২৪, ২০২২
১০:০৫ অপরাহ্ন
আপডেট : জানুয়ারি ২৪, ২০২২
১০:০৫ অপরাহ্ন
ঢাকায় জানুয়ারি মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের ৬৯ শতাংশের শরীরে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। ওমিক্রনের তিনটি সাব-টাইপ বা উপ-ধরন ঢাকা শহরে ছড়িয়ে পড়েছে।
আন্তর্জাতিক উদরাময় রোগ গবেষণা সংস্থা, বাংলাদেশ বা আইসিডিডিআর’বি এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
সংস্থাটি জানুয়ারি মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে ৩৭৯ জন কোভিড-১৯ রোগীর নমুনা পরীক্ষা করে এসব তথ্য পেয়েছে। তাদের মধ্যে ২৬০ জনই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছেন যা শতকরা হিসেবে তা ৬৯ শতাংশ।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সর্বশেষ ভ্যারিয়ান্ট ওমিক্রন শনাক্ত হয় ৬ ডিসেম্বর। সেই সময় ৭৭ জন রোগীর নমুনা পরীক্ষা করে পাঁচজনের শরীরে ওমিক্রন পেয়েছিল আইসিডিডিআর, বি। বাকিরা ছিলেন ডেল্টা ভ্যারিয়ান্টে আক্রান্ত।
জানুয়ারি মাসে সেই চিত্র বদলে গেছে। এখন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে ওমিক্রন ভ্যারিয়ান্ট বেশি শনাক্ত হচ্ছে।
বর্তমানে বিশ্বের ১০০র বেশি দেশে ওমিক্রন ভ্যারিয়ান্ট ছড়িয়ে পড়েছে। এই ধরনটি করোনাভাইরাসের অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বলে বিজ্ঞানীরা বলছেন।
আইসিডিডিআর’বি প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, তারা ২৯ জন ওমিক্রন আক্রান্তের টেলিফোন সাক্ষাৎকার নিয়েছে, যাদের মধ্যে পুরুষ ১৩ জন আর নারী ১৬ জন। এদের মধ্যে ২৪ জনই দ্বিতীয় ডোজের টিকা পেয়েছেন আর তিনজন পেয়েছেন প্রথম ডোজের টিকা।
আক্রান্তদের কারও মধ্যে হালকা উপসর্গ দেখা গেছে আর কারও মধ্যে কোনো উপসর্গই দেখা যায়নি। এই ২৯ জন আক্রান্তের একজনকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে।
আক্রান্তদের একজন শুধু সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশে এসেছিলেন। অন্য কেউই দেশের বাইরে ভ্রমণ করেননি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রবিবারের তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন আক্রান্তের হার ৩১ দশমিক ২৯ শতাংশ। আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ১০ হাজার ৯০৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের।
বি এন-০৭