হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া নবজাতক উদ্ধার

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি


জানুয়ারি ২৫, ২০২২
০৪:৫৯ অপরাহ্ন


আপডেট : জানুয়ারি ২৫, ২০২২
০৪:৫৯ অপরাহ্ন



হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া নবজাতক উদ্ধার

হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা  আধুনিক সদর হাসপাতাল থেকে চুরির  হওয়া নবজাতক উদ্ধার করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে নবজাতকদের বিশেষ সেবা ইউনিট থেকে চুরির এ ঘটনা ঘটে। পরে দুপুর ৩টায় হাসপাতাল কতৃপক্ষ ও পুলিশ নবজাতককে উদ্ধার করে।

জানা যায়, সোমবার (২৪ জানুয়ারি) প্রসব ব্যথা নিয়ে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা সদর আধুনিক হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি হন শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার মড়রা গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী ফেরদাউস আক্তার। 

মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৬টায় স্বাভাবিকভাবেই পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। এরপর শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নবজাতকদের বিশেষ সেবা ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সকাল ৯টার দিকে পরিষ্কার করার কথা বলে ওই ইউনিটে থাকা নবজাতকের সব স্বজনদের বের করে দেন দায়িত্বতরা। কিছুক্ষণ পর স্বজনরা সেখানে প্রবেশ করে দেখতে পান তোয়ালে পড়ে রয়েছে। কিন্তু নবজাতক নেই। এ সময় তারা চিৎকার শুরু করলে দায়িত্বরতরা স্বজনদের জানায় নবজাতকের বাবা দুধ খাওয়ানোর কথা বলে শিশুটিকে নিয়ে গেছে। বিষয়টি জানাজানি হলে তোলপাড় শুরু হয়। পরে হাসপাতাল কতৃপক্ষ ও পুলিশ মিলে অন্য আরেক নবজাতকের অভিভাবকের কাছ থেকে উদ্ধার করে। 

চুরি হওয়া নবজাতকের ফুফু সামছুন্নাহার জানান, ভোর সাড়ে ৬টায় স্বাভাবিকভাবে ডেলিভারির মাধ্যমে নবজাতকটি জন্ম নেয়। এরপর বাচ্চাটির কান্না থামছিল না। এক পর্যায়ে বিশেষ সেবা ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে কিছু ওষুধ নিয়ে আসতে বলা হয়। ওষুধ নিয়ে যাওয়ার পর ঝাড়ু দেয়ার কথা বলে তাদের বের করে দেন দায়িত্বরতরা। পরে ভেতরে ঢুকে শিশুটিকে আর পাইনি।

কর্তব্যরতরা  জানায়, তার বাবা এসে দুধ খাওয়ানোর কথা বলে নিয়ে গেছে। 

নবজাতকের বাবা দেলোয়ার হোসেন জানান, তিনি বাড়িতে ছিলেন। ছেলে সন্তানের খবর পেয়ে সকালে হাসপাতালে এসে জানতে পারি সন্তান চুরি হয়েছে। তিনি সন্তান ফেরত চেয়ে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন।

সদর হাসপাতলের তত্ত্ববাবধায়ক ডা. আমিনুল হক সরকার জানান, “আরেক অভিভাবক মনে হয় ভূল করে নিয়ে গেছিলো। ওদের বাচ্ছা ও ভর্তি আছে । এখন সাধারণ ভূল নাকি পলিটেকনিক। যাইহোক আমরা শোকরিয়া যে দুই বাচ্ছাকে দুই মায়ের কাছে পৌছে দিতে পারছি। পাওয়া গেছে এটাই সবচেয়ে বড় কথা। বাকিটুকু এদের যদি কোন অসৎ সংযোগ থাকে পুলিশ দেখবে”। 

সদর থানার ওসি (তদন্ত) দৌস মোহাম্মদ জানান, নবজাতককে পাওয়া গেছে , বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। যদি কেউ কোন অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে থাকে তাহলে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এস আর/বি এন-১১