অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখে ফেলায় লিজাকে হত্যা

সিলেট মিরর ডেস্ক


ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২২
০৮:৪৯ অপরাহ্ন


আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২২
০৮:৫০ অপরাহ্ন



অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখে ফেলায় লিজাকে হত্যা
শিশু লিজা হত্যা

পূর্ব বিরোধের জেরে ৬ মাস আগে ঈদের রাতে গলা টিপে হত্যা করা হয় ৯ বছরের লিজা আক্তারকে। হত্যায় জড়িত ছিলেন প্রতিবেশীরা। এমন তথ্য জানিয়েছে হত্যা মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

সংস্থাটি জানায়, হত্যার ঘটনায় ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) হবিগঞ্জের পিবিআই কার্যালয়ে লিজা হত্যা মামলার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার (এসপি) আল মামুন শিকদার।

নিহত লিজা আক্তার মাধবপুর উপজেলার গন্ধবপুর গ্রামের সাগর আলীর মেয়ে।

গত বছরের ২১ জুলাই কোরবানির ঈদের সন্ধ্যায় লিজাকে বাজারে পাঠান তার মা সেলিনা বেগম। এরপর থেকে তাকে আর পাওয়া যায়নি। সে রাতেই লিজার বাবা সাগর মাধবপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। ৪ দিন পর গ্রামের পাশের বাঁশঝাড়ে লিজার অর্ধগলিত লাশ পাওয়া যায়। সে রাতে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন সাগর।

সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই জানায়, তদন্তে নেমে সন্দেহের জেরে গত ৭ ও ৯ ফেব্রুয়ারি লিজাদের প্রতিবেশী বাহার উদ্দিন, খাদিজা আক্তার তাজরীন ও আমেনা খাতুনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারা হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন। আদালতেও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন।

পিবিআইয়ের এসপি জানান, গ্রেপ্তার তাজরীনের ছোট ভাই তাকবীর হাসানের সঙ্গে প্রতিবেশী কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত কোরবানির ঈদের কয়েকদিন আগে তাদের অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখে ফেলে লিজা। সে বিষয়টি ওই কিশোরীর মাকে জানিয়ে দেয়। সম্পর্ক মেনে না নিয়ে কিশোরীর কাছ থেকে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন তার মা।

এসপি আরও জানান, এ ঘটনায় লিজার উপর ক্ষুব্ধ ছিলেন ওই কিশোরী ও তার প্রেমিক তাকবীর। তারা লিজাকে শাস্তি দেয়ার পরিকল্পনা করেন। সে অনুযায়ী ঈদের সন্ধ্যায় বাজার থেকে ফেরার পথে লিজাকে চকলেট দেওয়ার কথা বলে তারা ডেকে নেন পরিত্যাক্ত একটি ঘরে। সঙ্গে ছিলেন তাকবীরের বোন তাজরীন ও তার দুই সহযোগী। তারা লিজাকে গলা টিপে হত্যার পর মরদেহ বাঁশ ঝাড়ে ফেলে চলে যান।

নিহত লিজা আক্তার মাধবপুর উপজেলার গন্ধবপুর গ্রামের সাগর আলীর মেয়ে।

এসপি আল মামুন জানান, ওই কিশোরী ও তাকবীর এখনও পলাতক। তাদের খোঁজা হচ্ছে।


এএফ/০৩