সিলেট মিরর ডেস্ক
ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২২
০৫:৫৯ অপরাহ্ন
আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২২
০৫:৫৯ অপরাহ্ন
সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও কূটনীতিক এম খায়রুজ্জামানকে বাংলাদেশে প্রেরণে স্থগিতাদেশ আরোপ করেছেন মালয়েশিয়ার হাইকোর্ট। এ বিষয়ে অভিবাসন বিভাগের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দিয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২০ মে তারিখ নির্ধারণ করেছেন দেশটির হাইকোর্ট।
আজ বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) খায়রুজ্জামানের রিট (হেবিয়াস কর্পাস) আবেদন শুনানিকালে এ আদেশ দেন হাইকোর্টের বিচারক মোহাম্মদ জাইনি মাজলান। ফ্রি মালয়েশিয়া টুড সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ফ্রি মালয়েশিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, সাবেক এ কূটনীতিকের আইনিজীবী দাবি করেছেন যে, তিনি ইউএনএইচসিআর-এর কার্ড নিয়ে একজন রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী ছিলেন। তিনি কোনোও অভিবাসননীতি লঙ্ঘন করেননি। তাই তাকে আটক করা বেআইনি ছিল।
তাতে আরো বলা হয়, খায়রুজ্জামান (৬৫) অজ্ঞাত কারণে ফেরত চায় বাংলাদেশ। খায়রুজ্জামানের স্ত্রী রীতা রহমানের দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কারণে তাঁর স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় রিতা রহমান আদালতের সিদ্ধান্তের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তার আশা, স্বামীর অবস্থান সম্পর্কে তিনি জানতে পারবেন।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি খায়রুজ্জামানকে তাঁর বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে মালয়েশিয়ার অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামজা জাইনুদিন বলেন, ‘একটি অভিযোগ থাকায় খায়রুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে তাঁর দেশের (বাংলাদেশের) একটি অনুরোধ আছে।’
এম খায়রুজ্জামান ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জেলহত্যা মামলায় খালাস পাওয়া আসামি। তিনি মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার ছিলেন (২০০৭ থেকে ২০০৯)। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর বিচারের মুখোমুখি হতে তাঁকে দেশে ফেরার নির্দেশ দিলেও তিনি ফেরেননি।
আরসি-০৬