সিলেট মিরর ডেস্ক
মার্চ ১৬, ২০২২
০৭:০৬ পূর্বাহ্ন
আপডেট : মার্চ ১৬, ২০২২
০৭:০৭ পূর্বাহ্ন
জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে ১০ ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানকে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ মর্যাদা স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছে সরকার।
মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক আদেশে পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের নাম প্রকাশ করেছে। যাতে সাহিত্যে মো. আমির হামজা নামের একজন মরণোত্তর পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা, অসামান্য আত্মত্যাগ ও অসাধারণ অবদানের জন্য যারা চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন এবং শিক্ষা-সংস্কৃতি, শিল্প-সাহিত্য, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও জনকল্যাণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যারা দেশ ও সমাজকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন, তাদের সম্মান জানাতে সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর এই পুরস্কার দিয়ে আসছে।
২০২০ সালের মতো এবারও সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কারে মনোনীত ব্যক্তিকে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তুলনামূলক কম পরিচিতি একজনকে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ মর্যাদার জন্য মনোনীত করার অভিযোগ তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই আমির হামজার পরিচয় জানতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
জানা যায়, আমির হামজা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি কবি হিসেবে পরিচিত। তার জন্ম ১৯৩১ সালে মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানার বরিশাট গ্রামে। তিনি কবি, গীতিকার ও সুরকার। তার প্রকাশিত একটি বইয়ে থাকা তথ্য অনুযায়ী, আমির হামজা নিজে গানও গাইতেন। প্রতিযোগিতামূলক কবিগান ও পালাগান করে অনেক খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তার একটা অনন্য বৈশিষ্ট্য ছিল যে, গানের আসরেই গান লিখে ও সুর করে পরিবেশন করতে পারতেন। তার কবি জীবনের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো- তিনি তাৎক্ষণিক দেশ ও জাতির হয়ে শ্রোতার চাহিদা অনুযায়ী গান লিখে পরিবেশন করতেন।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শ্রীপুর বাহিনীতে যোগ দিয়ে গৌরবময় ভূমিকা পালন করেন বলেও তার নিজ বইয়ের লেখক পরিচিতিতে উল্লেখ আছে।
তাতে আরও বলা হয়, তার প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘বাঘের থাবা’। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে লেখা গ্রন্থটি ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা পায়। মুজিববর্ষ উপলক্ষে ‘পৃথিবীর মানচিত্রে একটি মুজিব তুমি’ শীর্ষক গানের বইটি কবির প্রকাশিত দ্বিতীয় গ্রন্থ। বইটিতে মোট গানের সংখ্যা ৫২। কবি ২০১৯ সালের ২৩ জানুয়ারি মারা যান। বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য কবিকে ২০১৫ সালে সারথি ফাউন্ডেশন সম্মাননা প্রদান করা হয়।’ এছাড়াও ‘একুশের পাঁচালি’ নামে তার আরেকটি বই প্রকাশ হয়েছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে প্রথম দফায় প্রকাশিত তালিকায় সাহিত্যে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য এসএম রইজ উদ্দিন আহম্মদকে মনোনীত করা হয়েছিল। এরপর সাহিত্য অঙ্গনে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় হয়। সমালোচনা ছড়িয়ে পড়ে গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও। এরপর সরকার রইজ উদ্দিনকে স্বাধীনতা পুরস্কারের তালিকা থেকে বাদ দিয়েছিল। সে বছর সাহিত্যে কাউকে স্বাধীনতা পদক দেওয়া হয়নি।
সূত্র: যুগান্তর
আরসি-০৭