গোলাপগঞ্জে বানভাসীদের পাশে ফয়সল চৌধুরী

সিলেট মিরর ডেস্ক


জুন ২৩, ২০২২
১২:০৮ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জুন ২৩, ২০২২
১২:০৮ পূর্বাহ্ন



গোলাপগঞ্জে বানভাসীদের পাশে ফয়সল চৌধুরী

সুখে-দুঃখে-দুর্যোগে সব সময় মানুষের পাশে দাঁড়ান গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার সংসদীয় আসনের ধানের শীষ প্রতীকের সাবেক সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ফয়সল আহমদ চৌধুরী। এবারের বন্যায়ও তিনি গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজারবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছেন। বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রিত বানভাসীদের মুখে আহার তুলে দিতে তিনি ছুটে বেড়াচ্ছেন প্রত্যন্ত অঞ্চলে।

মে মাসের বন্যার সময় ফয়সল আহমদ চৌধুরী দেশের বাইরে ছিলেন। সেখান থেকেও তিনি বন্যাদুর্গতদের খোঁজ নিয়েছেন। নেতাকর্মীদের মাধ্যমে দুর্গতদের হাতে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন। এবার তৃতীয় দফার বন্যায় ফয়সল চৌধুরী দেশেই অবস্থান করছেন। ছুটে চলেছেন অসহায় মানুষের দোরগড়ায়। যাচ্ছেন বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে। বানভাসিদের হাতে তুলে দিচ্ছেন শুকনো খাবার। মঙ্গলবার (২১ জুন) এবং বুধবার (২২ জুন) তিনি গোলাপগঞ্জের লক্ষণাবন্দ ও শরীফগঞ্জ ইউনিয়নের বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রের অনাহারী মানুষের মুখে শুকনো খাবার তুলে দিয়েছেন।

লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের চৌধুরী বাজারের ১নম্বর চৌধুরী বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২নম্বর চৌধুরী বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে তৈরি করা খাবার বিতরণ করেছেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি অলিউর রহমান শামীম, সাধারণ সম্পাদক নূর উদ্দিনসহ ইউনিয়ন ও বিভিন্ন ওয়ার্ড বিএনপির নেতৃবৃন্দ। ১১নম্বর শরিফগঞ্জ ইউনিয়নের হাকালুকি হাওরপারের দুর্গম গ্রামগুলোতেও ছুটে গেছেন ফয়সল চৌধুরী। কালীকৃষ্ণপুরের কালীকৃষ্ণপুর এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্র, নূরজাহানপুর,কদুপুর, খাটখাই, পনাইরচক, মেহেরপুর, পানিআগা, কাদিপুর, ইসলামপর, রাংজিয়ল, রামপুর, বসন্তপুর গ্রামের বানবাসী মানুষের মধ্যে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বিতরণ করেছেন শুকনো খাবার। এ উদ্যোগ অবশ্য সিলেট জেলা কৃষক দলের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুল মুছাব্বিরের। মূলতঃ তার অর্থায়নে এসব খাবার বিতরণ করেন ফয়সল চৌধুরী।

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ছুরাব আলী, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক কামাল আহমদ, বিএনপি নেতা বেলাল আহমদ প্রমুখ। এ ছাড়া উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড বিএনপির  অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং এলাকার বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

হাকালুকির কালিকৃঞ্চপুরের বৃদ্ধ সুরাব আলী (৬৫) ফয়সল চৌধুরীর দেওয়া খাদ্য সহায়তা পেয়ে আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন, ‘সারাজীবন কর্ম করে খাইছি। খাওনের লাইগা কারো দিকে হাত পাততে অয়নাই। কিন্তু ইবার বন্যায় কোনো উপায় নাই। কয়ডা দিন থাইকা বউ বাচ্চা নিয়ে খাইয়া না খাইয়া আছি। ইসময় ফয়সল ভাইর সাহায্য পাইয়া অনেক উপকার অইলো।’