ধর্মপাশা প্রতিনিধি
আগস্ট ০৭, ২০২২
০৮:৫৪ অপরাহ্ন
আপডেট : আগস্ট ০৭, ২০২২
০৮:৫৪ অপরাহ্ন
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবনের একটি কক্ষে অস্থায়ী ভোটার তথ্য হালনাগাদ কার্যক্রম কক্ষে ঠেলাঠেলি করে জোরে ঢুকে পড়তে বাঁধা দেওয়ায় পুলিশের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় পুলিশের ওপর হামলা ছাড়াও বিশৃঙ্খলা থৈরি ও সরকারি সম্পদ বিনষ্টের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (৬আগস্ট) রাত আটটার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
হামলায় ধর্মপাশা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামীম কবীর, কনস্টেবল কানু বিশ্বাস, নান্টু চক্রবর্তী ও জহির রায়হান আহত হয়েছেন। তাঁদের রাতেই ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাময়িক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঘটনাস্থল থেকে উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের পাইকুরাটি গ্রামের বাসিন্দা মাধব চন্দ্র দে (৬০) ও জয় চন্দ্র দে (২০) কে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশের ওপর হামলা ,বিশৃঙ্খলার পরিবেশ সৃষ্টি ও সরকারি সম্পদ বিনষ্ট করার অভিযোগে ঘটনার দিন গভীর রাতে আহত এসআই শামীম কবীর বাদী হয়ে ১১জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ১০-১২জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেছেন।
ধর্মপাশা থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবনের একটি কক্ষে গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ওই ইউনিয়নের ভোটার তথ্য হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হয়। এতে জনগণের সার্বিক নিরাপত্তা ও ভোটার তথ্য হালনাগাদ কার্যক্রম যাতে সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হয় সেজন্য ধর্মপাশা থানার দুজন এসআই, দুজন এএসআই ও ছয়জন কনস্টেবল দায়িত্ব পালন করছিলেন। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ মানুষ সারিবদ্ধ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোটার তথ্য হালনাগাদ করতে অপেক্ষা করছিলেন। রাত আটটার দিকে উপজেলার পাইকুরাটি গ্রামের বাসিন্দা পিন্টু দে পলাশের (৩০) নেতৃত্বে অতর্কিতভাবে কয়েকজন ব্যক্তি ভোটার হাল নাগাদ কার্যক্রমের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজনকে ঠেলাঠেলি করে ভোটার তথ্য হালনাগাদ কার্যক্রমের কক্ষে ঢোকার চেষ্টা করেন। এসময় সেখানে থাকা পুলিশ সদস্যরা বাঁধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পিন্টু দে পলাশের (৩০) নির্দেশে লাঠি, বাঁশ, পাথর, বালু ও কাঁদামাটি দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। হামলায় ধর্মপাশা থানার এসআই শামীম কবিরসহ চারজন পুলিশ সদস্য আহত হন।
হামলাকারীরা পাইকুরাটি ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবনের বারান্দায় থাকা ৫টি বেঞ্চ , ২টি চেয়ার ভেঙ্গে ফেলার পাশাপাশি পরিষদ ভবনের এক পাশে থাকা পুলিশ সদস্যদের ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেলের ট্যাংকি লাঠি দিয়ে আঘাত করে বিনষ্ট করে।
খবর পেয়ে রাত সোয়া আটটার দিকে একদল পুলিশ নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন ধর্মপাশা সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার আলী ফরিদ ও ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মো. মিজানুর রহমান। হামলাকারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় ঘটনাস্থল থেকে মাধব চন্দ্র দে ও জয় চন্দ্র কে আটক করা হয়।
ধর্মপাশা থানার উপপরিদর্শক আব্দুস সবুর বলেন, ‘দায়িত্বপালনরত পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাঁধা ও সরকারি সম্পদ বিনষ্ট করার ঘটনায় ১১জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ১০-১২জনকে আসামি করে শনিবার গভীর রাতে ধর্মপাশা থানায় একটি মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় আটক হওয়া দুজনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। অন্যান্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এসএ-০১/এএফ-০৪
