সিলেট স্ট্রাইকার্সের লোগো উন্মোচন, আইকন মাশরাফি

খেলা ডেস্ক


অক্টোবর ১৯, ২০২২
০৮:৪৫ অপরাহ্ন


আপডেট : অক্টোবর ১৯, ২০২২
০৮:৫৮ অপরাহ্ন



সিলেট স্ট্রাইকার্সের লোগো উন্মোচন, আইকন মাশরাফি
মোহাম্মদ আমির, থিসারা পেরেরাসহ চার বিদেশি সিলেট দলে

আগামী বছরের জানুয়ারির ৬ তারিখ থেকে মাঠে গড়াচ্ছে বিপিএলের নবম আসর। শেষ আট আসরে সবচেয়ে বেশিবার মালিকানা ও ফ্যাঞ্চাইজির নামে পরিবর্তন এসেছে সিলেটের। মোট পাঁচবার নাম বদলেছে দলটির। ‘সিলেট সিক্সার্স’ ছাড়া আর কোনো মালিকই সিলেটের স্থানীয় কেউ ছিলেন না। তবে এবার ষষ্ঠ মালিক হিসেবে ফিউচার স্পোর্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের হাত ধরে ঘরের মানুষের হাতে মালিকানা ফিরলো সিলেটের ফ্র্যাঞ্চাইজি। আজ বুধবার ‘সিলেট স্ট্রাইকার্স’ নামে দলটি আত্মপ্রকাশ করেছে।


গত মাসের শেষ সপ্তাহ থেকেই আলোচনায় ছিল ‘সিলেট স্ট্রাইকার্স’। বিশেষ করে লোকাল ক্রিকেটার হিসেবে মাশরাফি বিন মর্তুজাকে ডিরেক্ট সাইনিং করিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে তারা। পরে গত ২৬ সেপ্টেম্বর বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক জানিয়েছিলেন, সিলেটের দায়িত্ব এবার নিচ্ছেন নতুন কেউ। তারা সিলেটেরই লোক বলেই তিনি নিশ্চিত করেছিলেন। তারপর থেকেই আলোচনায় উঠে ফিউচার স্পোর্টস বাংলাদেশ। অবশেষে রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে তারা আত্মপ্রকাশ করলো।

আত্মপ্রকাশের দিনে ‘সিলেট স্ট্রাইকার্স’ উন্মোচন করেছে দলীয় লোগো। পাশাপাশি টিম ম্যানেজমেন্ট, কোচিং স্টাফ ও বিদেশী ক্রিকেটারদের তালিকাভুক্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বিদেশী ক্রিকেটারদের যারা সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে মাঠ মাতাবেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন পাকিস্তানের পেসার মোহাম্মদ আমির, শ্রীলংকার থিসারা পেরেরা, কামিন্দু মেন্ডিস ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা।

দলটির সহকারী কোচ সিলেট স্ট্রাইকার্সের টিম ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করবেন নাফিস ইকবাল, সহকারী ও ব্যাটিং কোচের দায়িত্বে রাজিন সালেহ, সহকারী প্রশিক্ষক নাজমুল ইসলাম, পেস বোলিং কোচ সৈয়দ রাসেল, স্পিন বোলিং কোচ মুরাদ খান দায়িত্ব পালন করবেন। ফিল্ডিং বিভাগের দায়িত্ব সামলাবেন জাতীয় দলের সাবেক পেসার ডলার মাহমুদ ও সিলেট বিভাগীয় দলের সহকারী কোচ রাসেল আহমেদ। তবে এখনও নিশ্চিত করেনি প্রধান কোচের নাম।


দলটির চেয়ারম্যানেরে দায়িত্বে রয়েছেন সারোয়ার চৌধুরী। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সারওয়ারের ক্রিকেটের সঙ্গে সখ্য পুরনো। প্রবাসীদের মধ্যে ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজন করছেন অনেক দিন ধরেই। তার আয়োজিত ক্রিকেট প্রতিযোগিতাতেই খেলতে গেছেন বাংলাদেশের অনেক তারকা ক্রিকেটার। শুরুর দিকে চেয়েছিলেন প্রথম বিভাগ ক্রিকেট দলে বিনিয়োগ করতে, আস্তে আস্তে যদি তুলে আনা যায় প্রিমিয়ারে। পরমত পাল্টে এসেছেন বিপিএলে। ইচ্ছে আছে তিন বছর মেয়াদে ফ্র্যাঞ্চাইজির দায়িত্ব নিয়ে তুলে আনবেন বেশ কিছু তরুণ প্রতিভাবান ক্রিকেটার।

আজ দলের লোগো উন্মোচনের দিন সারওয়ার চৌধুরী গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘আমরা দারুণ খুশি যে বিসিবি তিন বছরের জন্য মালিকানার সুযোগ দিয়েছে। আমাদের সঙ্গে থাকবেন, দারুণ কিছুই অপেক্ষা করছে। তবে একটু চ্যালেঞ্জ আছে। কারণ অনেক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট চলছে। সে কারণে বিদেশী খেলোয়োড়ে সংকট। তবুও আমরা দল নিয়ে আশাবাদী।’


তিনি ছাড়াও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হেলাল ইউসুফ। এছাড়া পরিচালক হিসেবে রয়েছেন জগলুল হুদা মিতু, মো. নাঈম খন্দকার, মো. ইমাম হাসান, রাজিব খান, সাইফুর রাজা চৌধুরী। এছাড়া দলটির প্রশিক্ষকের দায়িত্ব সামলাবেন ইয়াকুব চৌধুরী। ফিজিও হিসেবে থাকবেন জহুরুল হক উজ্জল ও লজিস্টিক ম্যানেজারের দায়িত্বে রয়েছেন কাজী মাসুক আল বারী।

সিলেট ছাড়া আর কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজির এত ঘনঘন মালিকানা পরিবর্তন হয়নি। বিপিএলের প্রথম আসর ২০১২ সালে বসেছিল বিপিএলের প্রথম আসর। তখন নাম ছিল সিলেট রয়্যালস। এরপর একে একে সিলেট সুপার স্টারস, ‘সিলেট সিক্সার্স’, ‘সিলেট থান্ডার’ ও ‘সিলেট সানরাইজার্স’ নামে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি পরিচালিত হয়েছে এতদিন।


এএফ/০২