দিরাইয়ে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সংঘর্ষ, নিহত ১

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি


নভেম্বর ১৪, ২০২২
০৭:২৬ অপরাহ্ন


আপডেট : নভেম্বর ১৪, ২০২২
০৭:৫৬ অপরাহ্ন



দিরাইয়ে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সংঘর্ষ, নিহত ১

সুনামগঞ্জ জেলার দিরাইয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন।

নিহতের নাম আজমল হোসেন চৌধুরী। তিনি কুলঞ্জ গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে।

আজ সোমবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা সদরের বিএডিসি মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। 

আজমল হোসেন চৌধুরীর ভাগ্নে রহমত আলী বলেন, ‘আমি ও মামা এক সঙ্গে সম্মেলনে ছিলাম। আমাদের উপর দুটি ইটের ঢিল এসে পড়লে মামা পিঠে আঘাত পান। তাৎক্ষণিক তার আঘাতস্থলে বরফ লাগিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে গেলে তার অবস্থার অবনতি হয়। এক পর্যায়ে মারা যান মামা।’

সংঘর্ষের সময় আহত হয়ে পরে হাসপাতালে একজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান।

দলীয় সূত্র জানা গেছে, আজ দুপুরে দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে মঞ্চে উঠা নিয়ে সভায় সাবেক পৌর মেয়র মোশারফ মিয়া ও প্রদীপ রায়ের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় উভয় পক্ষ এক অপরকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ও চেয়ার ছুড়েন।

দিরাই পৌরসভার সাবেক মেয়র মোশাররফ মিয়ার সমর্থকদের মঞ্চে উঠতে না দেওয়ায় সভা শুরুর পর পর সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। এসময় সংঘর্ষ বাধলে আহত হন অন্তত ১০ জন। 

আহতদের মধ্যে রয়েছেন, দিরাই পৌরসভার সাবেক মেয়র মোশাররফ মিয়া, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল হাসান চৌধুরী, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান সেন্টু, আওয়ামী লীগ নেতা এবাদুর রহমান কুবাদ, পৌর কাউন্সিলর এবিএম মাসুম প্রদীপ প্রমুখ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষের সময় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নূরুল ইসলাম নাহিদ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আজিজুল সামাদ আজাদ ডন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান, সহ-সভাপতি নোমন বখত পলিন, সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন, স্থানীয় সংসদ সদস্য ড. জয়া সেনগুপ্ত, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শামীমা আক্তার খানম-সহ কেন্দ্রীয় ও জেলার নেতারা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। তারা চেয়ারকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে আত্মরক্ষা করেন।

পরে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। সংঘর্ষের একঘণ্টা পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফের সম্মেলন শুরু হয়।

দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল আলম বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছেন।

এদিকে, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক পৌর মেয়র মোশাররফ মিয়া দাবি করেছেন, ‘নিহত আজমল হোসেন চৌধুরী তার কর্মী। সংঘর্ষের সময় তার সামনে প্রতিপক্ষের ইটের আঘাতে আহত হয়ে হাসপাতালে যাওয়ার পর আজমলের মৃত্যু হয়েছে’।

তবে অপরপক্ষ এটাকে ‘স্বাভাবিক মৃত্যু’ বলে দাবি করছে।


এএফ/০২